রাজ্যপাল পিছিয়ে গেলেন ৪–০ অঙ্কে, দুর্গারত্ন ফিরিয়ে দিল চারটি পুজো কমিটিই

কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব এবং কলকাতার টালা বারোয়ারি দুর্গাপুজো কমিটি আগেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ‘‌দুর্গারত্ন’‌ পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান করেছিল। আর বাকি ছিল দুটি। এবার রাজ্যপালের ‘দুর্গারত্ন’ পুরষ্কার ফেরাল বাকি দুটি পুজো কমিটিও। ফলে বেশ চাপে পড়ে গেলেন রাজ্যপাল। বরাহনগরের দুটি পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায়। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‌দুই পুজো কমিটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই পুরষ্কারর তাঁরা বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে।’‌

এদিকে এই চারটি দুর্গাপুজো কমিটিকে দুর্গারত্ন পুরষ্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজভবন। কিন্তু রাজ্যপালের এই উদ্যোগ এখন ৪–০ হয়ে রইল। একজনও পুরষ্কার নিলেন না। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্প্রতি সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করছিলেন। অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা থেকে শুরু করে সমস্ত বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন। যা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়। এবার নিজেই বেস কয়েকটি দুর্গাপুজো মণ্ডপে পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। তারপরই এই দুর্গারত্ন পুরষ্কার ঘোষণা করেন তিনি। যা চারটি পুজো কমিটিই সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল।

অন্যদিকে বাংলার দুর্গাদের আর্থিক বঞ্চনা করা হচ্ছে। তাদের প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা হচ্ছে। সেখানে রাজ্যপালের দুর্গারত্ন পুরষ্কার সম্মানের সঙ্গে ফিরিয়ে দিলাম বলে জানিয়েছে ক্লাব দুটি। আর কল্যাণী ও টালা প্রত্যয় পুরষ্কার দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তার জেরেই প্রত্যাখ্যান করেছে পুরষ্কার। আর সাংবাদিক বৈঠক করে বিধানসভার উপমুখ্যসচেতক তথা বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় জানান, রাজ্যপালের দেওয়া দুর্গারত্ন সম্মান ফেরাল বরাহনগর নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ড এবং বন্ধুমহল এই দুই দুর্গাপুজো কমিটি। তাই সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছে কল্যাণীর লুমিনাস এবং টালা প্রত্যয়।

আরও পড়ুন:‌ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী হলেন কেমন করে?‌ রাজনৈতিক উত্থানের রইল ঘটনাপ্রবাহ

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আর মোট ৫ লক্ষ টাকা দুর্গারত্নের পুরষ্কারমূল্য ছিল। চারটি ক্লাবই তা থেকে সরে দাঁড়াল। বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘‌রাজ্যপাল আমার বিধানসভা এলাকার দুটি দুর্গাপুজোকে নির্বাচিত করার জন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। তবে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। এই সম্মান গ্রহণ করে বঞ্চিত হওয়া মানুষগুলিকে অপমান করা সম্ভব নয়। তাই রাজ্যপালের সম্মান গ্রহণ করতে পারলাম না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা বঞ্চিতদের জন্য রাজ্যপালের কাছেও দরবার করেছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন সদর্থক পদক্ষেপ দেখতে পাইনি।’‌