20 lakh students deleted: স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় ২০ লাখ পড়ুয়ার নাম বাদ দিল বিহার সরকার, সরব বিরোধীরা

স্কুলে অনুপস্থিতির হার কমাতে কঠোর পদক্ষেপ করেছে বিহার সরকার। স্কুলে অনুপস্থিত থাকার জন্য বিপুল সংখ্যক পড়ুয়ার নাম খাতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যার সংখ্যা হল ২০ লক্ষরও বেশি। জানা গিয়েছে, যাদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ২.৬৬ লক্ষ পড়ুয়ার এবার দশম এবং দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। এত সংখ্যক পড়ুয়ার নাম বাদ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকার। এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।

আরও পড়ুন: বাংলায় পাঠ্যপুস্তক মিলছে না, স্যারও অমিল, কেন বিহারে কোণঠাসা হচ্ছে বাংলা?

জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিহারের শিক্ষা দফতরের তরফে উপস্থিতির হার বাড়ানোর জন্য একটি অভিযান চালানো হয়। তাতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব কে কে পাঠকের নির্দেশে এই অভিযান শুরু হয়েছিল। শিক্ষা দফতরে মুখ্য সচিব সমস্ত জেলার শাসকদের এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা খতিয়ে দেখার পর ২০,৬০,৩৪০ জন পড়ুয়ার নাম অনুপস্থিত থাকার কারণে কেটে দেওয়া হয়।

সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। তারা রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে স্বৈরাচারী বলে সমালোচনা করেন। তাদের বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করার কোনও অধিকার নেই সরকারের । এখনও বহু সরকারি স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই বা পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নেই। সরকারের সে বিষয়টির উপর নজর দেওয়া উচিত।

বিরোধীদের অভিযোগ, উচ্চ শ্রেণিতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিতের মতো বিষয়গুলি পড়ানোর জন্য শিক্ষক নেই। এই অবস্থায় কীভাবে শিক্ষার্থীদের ১০০ শতাংশ উপস্থিতি আশা করা যায়? সরকারি বিদ্যালয়ে প্রথমে সমস্ত মৌলিক পরিকাঠামো এবং শিক্ষাগত সুবিধা প্রদান করা সরকারের দায়িত্ব। সেগুলি করার পর সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক উপস্থিতির বিষয়টি চালু করুক।

বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজয় কুমার সিনহাও এই পদক্ষেপের জন্য সরকারের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদি বিহারের সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষকের অভাব থাকে তাহলে ছাত্রদের কিছু করার নেই। তারা অবশ্যই তাদের পাঠ্যক্রম সম্পূর্ণ করার জন্য বেসরকারি স্কুলে পড়বে। নীতীশ কুমার সরকার রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির অবস্থার উন্নতি করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে৷ বিহারের শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুতর ত্রুটি আড়াল করার জন্য এই পদক্ষেপ করেছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানায়।’