Anubrata Mondal: TMC-র মারে মাথা ফাটল অনুব্রতর ভাইপোর, থানার সামনে পড়ে রইলেন রক্তাক্ত অবস্থায়

দুষ্কৃতীদের মারে নাক ফাটার পর চিকিৎসার আশায় থানার সামনে পড়ে রইলেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাইপো। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা বোলপুরের নিচুপট্টির। অনুব্রতর তুতো ভাইপো সুমিত মণ্ডলের দাবি, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বচসা থেকে ২ যুবক তাঁকে মারধর করেছে। থানায় গিয়ে সহযোগিতা চাইলেও পুলিশ আধিকারিকরা এগিয়ে আসেননি। অভিযুক্তরা তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি স্থানীয়দের।

কয়লা ও গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারির পর আসানসোল হয়ে বর্তমানে অনুব্রতর ঠিকানা দিল্লির তিহাড় জেল। বাবার সঙ্গে একই জেল বন্দি রয়েছেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাও। গ্রেফতারির পর থেকেই বীরভূম থেকে ক্রমেই মুছেছে অনুব্রতর চিহ্ন। তবে এখনও তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে রয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে অনুব্রতর নিচুপট্টির বাড়ি পুকুরের কাছে স্থানীয় দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনের পর্ব চলছিল। অভিযোগ, তখন কামরুল আলি ও আকাশ কুণ্ডু নামে ২ তৃণমূল সমর্থকের সঙ্গে অনুব্রতর তুতো ভাইপো সুমিত মণ্ডলের বচসা বাঁধে। এর পর ২ যুবক পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক সুমিতবাবুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারের চোটে অনুব্রতর ভাইপোর নাক ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। আঘাত লাগে মাথাতেও। ওই অবস্থাতেই সোজা থানায় হাজির হন সুমিতবাবু। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর পর পুলিশকে জানান, তিনি অসুস্থ বোঝ করছেন। তাঁর যেন চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ, এর পর থানার সামনে রক্তাক্ত অবস্থা বেশ কিছুক্ষণ পড়ে থাকলেও সুমিতবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই নিয়ে সুমিতবাবু বলেন, ‘কামরুল আর আকাশ আমাকে মেরেছে। অনুব্রত মণ্ডলের ভাইপো বলে আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমি থানাকে সব জানিয়েছি। কিন্তু ওরা আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না। আজ দাদা তিহাড়ে বলে আমাকে এই নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে।’