NCERT on ‘Bharat’ in Books: ‘নতুন কিছুর দরকার ছিল’, বইতে ‘ইন্ডিয়া’ সরিয়ে ‘ভারত’ করার পক্ষে যুক্তি NCERT প্যানেল প্রধানের

ভারত বনাম ইন্ডিয়া বিতর্কের ঢেউ আছড়ে পড়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। এই আবহে এনসইআরটি-র প্যানেলের তরফে সম্প্রতি সুপারিশ করা হয়, পাঠ্য বইতে ইন্ডিয়ার বদলে যেন দেশের নাম ‘ভারত’ হিসেবেই লেখা হয় ইংরেজিতে। এই নিয়ে এবার সংবাদ চ্যানেল এনডিটিভিকে নিজের বক্তব্য জানালেন এনসিইআরটির প্যানেলের প্রধান সিআই আইসাক। তিনি সমাজ বিজ্ঞান কমিটির প্রধান। তাঁর বক্তব্য, ‘বাড়িতে পড়ুয়ারা যা ইচ্ছে বলতেই পারেন (ইন্ডিয়া বা ভারত)।’ তাহলে এই সুপারিশ কেন? জবাবে আইসাক বলেন, ‘আমাদের মানসিকতা ঔপনিবেশিক শিক্ষা দ্বারা প্রভাবিত। এখন এটা একটি নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা। নতুন ভাবে পড়াশোনা দরকার। নতুন কিছু দরকার, ঐতিহ্যগত কিছুর আর প্রয়োজন নেই।’

প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই দেশের নাম নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে। বিরোধীদের জোটের নামকরণের পর থেকেই ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক শুরু হয়। এরই মাঝে এবার স্কুলের পাঠ্যবই থেকে ‘ইন্ডিয়া’ মুছে ফেলে তর জায়গায় ‘ভারত’ যুক্ত করার সুপারিশ দেয় ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটি। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এনসিইআরটি কমিটির চেয়ারম্যান সিআই আইস্যাক বলেন, ‘স্কুলের পাঠ্যবই থেকে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ লেখার সুপারিশ করেছে এনসিইআরটি কমিটি।’ প্রসঙ্গত, বিগত দিনে শিক্ষার গৈরিকীকরণ করা নিয়ে অভিযোগ করে এসেছেন বিরোধীরা। এই আবহে এবার ‘ভারত বনাম ইন্ডিয়া’ বিতর্কের আঁচ গিয়ে পড়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে।

উল্লেখ্য, ইংরেজিতে দেশের নাম ভারত নাকি ইন্ডিয়া, তা নিয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই জোর চর্চা তর্ক, বিতর্ক চলছে দেশ জুড়ে। প্রসঙ্গত, বিজেপি বিরোধী দলের বৃহত্তর জোটের নাম – ইন্ডিয়া। এরপরই জাতীয় রাজনীতিতে ‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ বিতর্ক শুরু হয়। এই আবহে জি২০ সম্মেলনেও ‘ইন্ডিয়া’র স্থান নেয় ‘ভারত’। আর আজ বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে একবারও ‘ইন্ডিয়া’ বললেন না মোদী। এর আগে জি২০-র মঞ্চে ‘ইন্ডিয়া’ মুছে দিয়ে ‘ভারত’-কে ঠাঁই দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই জন্ম নিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলের বৃহত্তর জোটের। সেই জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীরা ইতিমধ্যেই তিনটি বৈঠকও করেছেন দেশের বিভিন্ন শহরে। এই জোটকে কটাক্ষ করতে শুরু থেকেই ময়দানে নেমেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এই জোটকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে মোদী ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’-এর নাম উল্লেখ করেছিলেন। এই আবহে বিরোধী জোটের নামকরণের জেরেই দেশের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মমতা, কেজরি, রাহুলদের।

উল্লেখ্য, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র পুরো নাম হল – ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। আর বিরোধী জোটের নামকরণের পর থেকেই দেশের নাম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই আবহে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দের বদলে ইংরেজিতেও ‘ভারত’ লেখা শুরু করে সরকার। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর তরফ থেকে যে আমন্ত্রণ পত্র বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে, তাতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। সেই থেকেই দেশের নাম বদলের জল্পনা শুরু হয়। পরে সরকারি নথিতে মোদীর নামের পাশে লেখা হয় ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’। উল্লেখ্য, হিন্দি বা বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় এমনিতেই ‘ভারত’ শব্দের উল্লেখ থাকে সরকারি ভাবে। তবে ইংরেজিতে এত বছর ধরে ‘ইন্ডিয়া’ ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে ‘ইন্ডিয়া’ নামটিকে ‘ঔপেনিবেশিক’ বলে আখ্যা দেয় গেরুয়া শিবির। এই আবহে এবারে পাঠ্যসূচি থেকে ‘ইন্ডিয়া’ মুছে ফেলার সুপারিশ করল এনসিইআরটি কমিটি।