রাত পোহালেই যান চলাচলে উন্মুক্ত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে বহু প্রতীক্ষিত টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নিজ হাতে টোল দিয়ে টানেল পাড় হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

টানেল প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুন উর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। নির্ধারিত টোল দিয়ে এসব যানবাহন পাড় হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হেঁটে টানেল পাড় হওয়া যাবে না। টানেল দিয়ে মোটরসাইকেলসহ দুই চাকা এবং তিন চাকার যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। তবে পণ্যবাহী যানবাহনসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করবে। ডিজাইন অনুযায়ী টানেলের ভেতর ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলবে।’

এদিকে, গত ১৩ ‍জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল নির্ধারণ করে দেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পারাপারে সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাইভেটকার ও জিপের জন্য। সর্বোচ্চ টোল দিতে হবে ট্রাক ও ট্রেইলারকে। ট্রেইলারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত টোলের সঙ্গে প্রতিটি এক্সেলের জন্য আরও ২০০ টাকা করে বাড়তি দিতে হবে। টানেল পারাপারে সর্বোচ্চ টোল দিতে হবে ট্রাক ও ট্রেইলারকে

এছাড়া পিকআপ ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, বাস (৩১ সিটের কম) ৩০০ টাকা, বাস (৩২ সিটের বেশি) ৪০০ টাকা, বাস (৩ এক্সেল) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪০০ টাকা, ট্রাক (৫ দশমিক ০১ থেকে ৮ টন) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৮ দশমিক ০১ থেকে ১১ টন) ৬০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৩ এক্সেল) ৮০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ১০০০ টাকা এবং চার এক্সেলের বেশি ট্রাক।

টানেল প্রকল্পে শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। পরে তা বেড়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এরমধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। টানেল প্রকল্পে মোট ব্যয় ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা