সৎ মেয়ের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় প্রেমিকের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হন বেলুড়ের বধূ

বালি থানা এলাকার বেলুড়ে বাড়ি থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল হাওড়া সিটি পুলিশ। দীপা পাল (৩১) নামে ওই বধূর খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল তাঁর প্রথম পক্ষের মেয়ের প্রেমিক। মনতোষ মণ্ডল (২৩) নামে ওই যুবককে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে, মেয়ের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ানোতেই দীপার ওপর আক্রোশ তৈরি হয়েছিল মনতোষের।

গত ১৬ অক্টোবর, দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর রাতে বেলুড়ের ধর্মতলা এলাকায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দীপা দেবীর রক্তাক্ত দেহ। তাঁর মুখ সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছিল। স্বামী অক্ষয় পাল রাত ১১টা নাগাদ অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর দেহ দেখতে পান। খবর যায় বালি থানায়।

তদন্তে নেমে প্রথমে স্বামীকে জেরা শুরু করে করে পুলিশ। দীপা দেবী ও অক্ষয়বাবু ২ জনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। অক্ষয়বাবুর প্রথম পক্ষের ৩ মেয়ে রয়েছে। তার মধ্যে বড় মেয়ের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মনতোষের। কিন্তু সেই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ান দীপা। এতে তাঁর ওপর ব্যাপক আক্রোশ তৈরি হয় মনতোষের। সেই আক্রোশেই গত ১৬ অক্টোবর রাতে বধূকে খুন করে সে। এর পর পালিয়ে যায় সুন্দরবনে।

শুক্রবার সুন্দরবনের তিনজালি এলাকা থেকে মনতোষকে গ্রেফতার করে হাওড়া সিটি পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তাকে চিহ্নিত করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল মনতোষের। শনিবার ধৃতকে হাওড়া আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।