Jindal on Narayan Murthy’s Comment: ‘মোদীও দিনে ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন’, নারায়ণ মূর্তির ‘৭০ ঘণ্টা’ মন্তব্যকে সমর্থন জিন্দলের

সম্প্রতি একটি পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি ‘সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন দেশের তরুণদের। তাঁর এই মন্তব্যকে এবার সমর্থন করলেন জিন্দল গোষ্ঠীর প্রধান সজ্জন জিন্দল। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদাহরণ তুলে ধরেন জিন্দল। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জিন্দল লেখেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন। আমার বাবা সপ্তাহে ৭ দিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করতেন। আমি প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘন্টা কাজ করি।’ (আরও পড়ুন: অবশেষে জয় সরকারি কর্মীদের, নভেম্বরে কার্যকর হবে সপ্তম বেতন কমিশন, বললেন মন্ত্রী)

এর আগে নারায়ণ মূর্তি পডকাস্টে বলেছিলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলির মানুষের নিরিখে ভারতীয়দের কর্মক্ষমতা অত্যন্ত কম। সেই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সেরা দেশগুলির সঙ্গে টক্কর দিতে হলে দেশের তরুণদের আপ্রাণ পরিশ্রম করতে হবে। এর জন্যে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জাপান ও জার্মানির উদাহরণ তুলে ধরেছিলেন। ‘থ্রি ওয়ান ফোর ক্যাপিটাল’-এর পডকাস্ট দ্য রেকর্ডে নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন, ‘অর্থনীতির নিরিখে চিনের মতো দেশের সঙ্গে টক্কর দিতে হলে ভারতের তরুণদের নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। ঠিক যে কাজটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে করেছিল জাপান, জার্মানির মতো দেশগুলি। বিশ্বের মধ্যে ভারতের কর্মক্ষমতা অন্যতম কম। যদি আমরা আমাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করি, যদি না যে সরকারের কোনও স্তরে দুর্নীতিতে লাগাম টানতে না পারি, যদি না কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক লালফিতের ফাঁস কাটাতে না পারি, তাহলে আমরা সেইসব দেশের সঙ্গে লড়াই করতে পারব না, যেসব দেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তাই যুব সম্প্রদায়কে বলতে চাই, তাঁদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে তৈরি থাকতে হবে।’

আরও পড়ুন: আসছে নয়া আইন, পুরনো পেনশন নিয়ে বড় ঘোষণা, সরকারি কর্মীদের মুখে ফুটবে হাসি?

এর আগে নারায়ণ মূর্তির পরামর্শের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন ওলার সিইও ভাবিশ আগরওয়াল। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভাবিশ আগরওয়াল লেখেন, ‘নারায়ণ মূর্তির মতামতের সাথে সম্পূর্ণ ভাবে একমত আমি। কম কাজ করে এবং উপভোগের সময় এটা নয়। বরং এটাই আমাদের কঠোর পরিশ্রমের মুহূর্ত। অন্য দেশগুলো অনেক প্রজন্ম ধরে যা তৈরি করেছে, এখন আমরা তা ১ প্রজন্মের মধ্যেই তৈরি করতে পারি!’ এদিকে নারায়ণ মূর্তির পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমা প্রযোজক তথা আপগ্র্যাডের প্রধান রনি স্ক্রুওয়ালা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘উৎপাদনশীলতা বাড়ানো মানে শুধু দীর্ঘ সময় কাজ করা নয়। আপনি যা করেন তাতে আরও ভালো হতে হবে। আপস্কিলিং প্রয়োজন। ইতিবাচক কাজের পরিবেশ দরকার। ন্যায্য বেতন দিতে হবে কর্মীদের। বেশিক্ষণ কাজ করার থেকে কাজের গুণমান ভালো হওয়া বেশি প্রয়োজন।’