Durga Puja 2023: ফুচকার মণ্ডপ যাচ্ছে চন্দননগর, আর কোন থিমের গন্তব্য কোথায়?

কোথায় ফুচকা দিয়ে মণ্ডপ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল দুর্গাপুজো উদ্যোক্তারা। কোথাও আবার ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে তৈরি মণ্ডপ। কলকাতার থিমের পুজোর এবার পৌঁছতে চলেছে জেলায় জেলায়। শারদোৎসবে শিল্পীদের তৈরি মণ্ডপের দেখা মিলবে জেলার কালী বা জগদ্ধাত্রী পুজোয়। থিমের মণ্ডপগুলোকে জেলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা শুরু হয়েছে জেলার পুজো উদ্যোক্তাদের। শুরু হয়েছে দর কষাকষিও।

জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি মণ্ডপ কোথায় যাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা হয়ে গিয়েছে। আবার কোনও কোনও মণ্ডপ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা চলছে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। একটি সাংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, সুরুচি সঙ্ঘের মণ্ডপ যেতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে। সেখানে একটি কমিটির সঙ্গে কথা চলছে বলে জানিয়েছেন পুজোর সম্পাদক স্বরূপ বিশ্বাস।

ফুচকার মণ্ডপ তৈরি করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল বেহালার নতুন দল। তাদের পুজো মণ্ডপ যাচ্ছে চন্দননগরের একটি জগদ্ধাত্রী পুজোয়। গোটা মণ্ডপটি খুলে নিয়ে যাচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা। মণ্ডপ নির্মাণ শিল্পীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফুচকা দিয়ে বানানো হয় এই মণ্ডপ। প্রায় ৮০ হাজার ফুচকা দিয়ে এই মণ্ডপ বানানো হয়েছিল। ফুচকাগুলিকে সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কেমিক্যাল মাখানো হয়। প্রচুর দর্শনার্থী ভিড় করেন এই মণ্ডপ দেখতে। এবার তা দেখা যাবে চন্দননগরের একটি জগদ্ধাত্রী পুজোয়। এছাড়া তেলেঙ্গাবাগান ও সমাজসেবীর পুজো যেতে পারে চন্দননগরে।

(পড়তে পারেন। বাংলাকে আবার কুর্নিশ ইউনেস্কোর, কার্নিভালের রিপোর্ট যাচ্ছে জেনিভায়) 

জানা গিয়েছে, কলেজ স্কোয়ার সর্বজনীনের পুজো মণ্ডপ এবার দেখা যাবে নদিয়ায়। শান্তিপুরের রাশ উৎসবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মাইসোর প্যালেসের আদলে তৈরি মণ্ডপ। এছাড়া গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের আদলে তৈরি আহিরিটোলা সর্বজনীনের মণ্ডপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চাকদায়।

হরিদেবপুরের ৪১-এর পল্লীর মণ্ডপ নিয়ে যাচ্ছে তেঘরিয়ায় একটি কালীপুজো কমিটি। অন্যদিকে দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘের মণ্ডপ যেতে পারে চন্দননগরের একটি জগদ্ধাত্রী পুজোয়। কাঁথির একটি কালীপুজোয় যাচ্ছে চালতাবাগান লোহাপোট্টির পুজো। বাংলার হারিয়ে যাওয়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে এই মণ্ডপটি তৈরি হয়। এছাড়া বালিগঞ্জ কালচারালের পুজো মণ্ডপটি যাচ্ছে শিলিগুড়ির একটি কালীপুজোয়।

এদের মধ্যে বড় দর হেঁকেছে চোরবাগান সর্বজনীন। মণ্ডপের দাম ৩৫ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। এই মণ্ডপটি কোথায় যাবে তা এখনও ঠিক হয়নি। চলছে দর কষাকষি।