Israel warns Elon Musk: ‘ফল ভালো হবে না’, ইলন মাস্ককে হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের, ‘অত বোকা নই’, জবাব ধনকুবেরের

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। সেই হামলায় ইজরায়েলের প্রায় ১৩০০ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। এদিকে ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে নাকি হামাস অপহরণ করে নিয়ে যায় গাজায়। এই আবহে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইজরায়েল। গাজায় প্রবেশ করছে ইজরায়েলি সেনা। গাজায় বিদ্যুত ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। খাবার নেই, জল নেই। ত্রাণ প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিও বিপাকে পড়েছে। এই আবহে স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত সংগঠনগুলিকে ইন্টারনেট দেওয়ার কথা বলেছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। আর এতেই চটেছে ইজরায়েল। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীকে ইজরায়েল হুঁশায়ির দিয়েছে, গাজায় ইন্টারনেট পরিষেবা দিলে তার ফল ভালো হবে না।

এর আগে এক পোস্টে মাস্ক লিখেছিলেন, ‘গাজায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত সকল ত্রাণ প্রদানকারী সংগঠনকে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে সাহায্য করবে স্টারলিঙ্ক।’ এই পোস্টের জবাবে ইজরায়েলের জনসংযোগ মন্ত্রী শোলমো কারহি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘যে করেই হোক ইজরায়েল এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। এই ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে হামাস নিজেদের জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি করবে। এই বিষয়ে আমাদের মনে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা জানি। এবং ইলন মাস্কেরও এটা জানা উচিত। হামাস হল আইএসআইএস। সকল বন্দি এবং অপহৃত ইজরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার পরিবর্তে এই পরিষেবা দিতে পারেন ইলন মাস্ক। তবে ততদিন মাস্কের স্টারলিঙ্কের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করছে আমার অফিস।’

এদিকে ইলন মাস্ক ইজরায়েলি মন্ত্রীর এই পোস্টের জবাব দেন। তিনি অপর একটি পোস্টে লেখেন, ‘আমরা অত বোকা নই। কোনও স্টারলিঙ্ক টার্মিনাল গাজা থেকে সংযোগ করার চেষ্টা করেনি। যদি কেউ তা করে, তাহলে আমরা দেখব যাতে তা শুধুমাত্র মানবিক কারণেই ব্যবহার করা হয়। আমরা সংযোগ দেওয়ার আগে মার্কিন এবং ইজরায়েল উভয় সরকারের সাথে তা খতিয়ে দেখব।’

গত ৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকবাজরা আচমকাই ইজরায়েলে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালিয়েছিল। তাতে অন্তত ১৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকেই ইজরায়েল জবাবি হামলা চালিয়েছে গাজায়। ‘হামাসকে খতম’ করার কথা বলে ইজরায়লকে সমর্থন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। এই আবহে ইজরায়েলের তরফে গাজায় অনবরত হামলা চালানো হচ্ছে। হামাসের সশস্ত্র গোষ্ঠীকে খতম করতে আকাশপথে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই হামলা চালানো হচ্ছে। আর এই আবহে গাজা ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ইজরায়েলের বোমা বর্ষণের মাঝেই গাজায় চলছে উদ্ধারাজ। ঘণ্টা ঘণ্টায় উদ্ধার হচ্ছে প্রচুর মৃতদেহ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেখানকার কবরস্থানগুলিতে আর জায়গা নেই। গাজার অনেক জায়গাতেই গণকবর খোঁড়া হচ্ছে। এই আবহে দেহ সংরক্ষণ করতে আইসক্রিম ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে।