Kochi Blast Latest Update: ‘আমিই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি,’ কেরল-কাণ্ডের দায় নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ, কে তিনি?

কেরলের ত্রিশূরে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার দায় নিল এক ব্যক্তি। ত্রিশূর থানায় গিয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেন বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তির নাম ডোমিনিক মার্টিন। তার দাবি তিনিই টিফিনবক্সে বিস্ফোরক ভরে ওখানে রেখেছিলেন। তবে পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে।

এদিকে তিনি নিজেকে খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বী জেহোবা অনুগামী বলে পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু এদিন ওই ধর্মাবলম্বীদেরই প্রার্থনা সভা ও মিটিং ছিল। সেক্ষেত্রে তিনি কেন এই কাণ্ড ঘটালেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কারণ ওই ব্যক্তির মুখের কথায় সবটা বিশ্বাস করতে রাজি নিয়ে পুলিশ। এভাবে বিস্ফোরণের পরে আবার নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণের পেছনে অন্য কোনও মতলব রয়েছে কি না সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

কেরলের কালামাসেরিতে জামরা ইন্টারন্যাশানাল কনভেনশন অ্যান্ড এগজিবিশন সেন্টারে একটি ধর্মীয় কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই আচমকা বিস্ফোরণ। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কনভেনশন হলের মধ্যে বিস্ফোরণ। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে ওটা আইইডি বিস্ফোরণ।

কালামাসেরির এডিজিপি( আইন শৃঙ্খলা) অজিত কুমার জানিয়েছেন, একজন আত্মসমর্পণ করেছেন। নাম হল ডোমিনিক মার্টিন। তার দাবি প্রার্থনাসভায় যারা ছিল তিনি তাদেরই সদস্য। সবদিক যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে বিস্ফোরণের কথা জানতে পেরেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার।

এই বিস্ফোরণে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৪৫জন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে কিছু প্রমাণও দেখিয়েছেন। কী কারণে এটা করে তার দায় স্বীকার করছেন সেটা দেখা হচ্ছে।

এদিকে হিন্দুস্তান টাইমসের গ্রাউন্ড রিপোর্টে বিস্ফোরণ নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ উঠে এসেছে। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, মিটিং শুরুর আগে সব চোখ বুজেছিলাম। একমিনিট মতো প্রার্থনা হয়েছে। তার মধ্য়েই বিশাল বিস্ফোরণ। চোখ খুলতেই দেখলাম বিরাট আগুনের গোলা। আর তার সঙ্গেই কালো ধোঁয়া। চেয়ারের পাঁচ নম্বর সারি যেখানে ছিল সেখানেই এই ঘটনা হল।

তিনি জানিয়েছেন, দু সেকেন্ড পরে আবার বিস্ফোরণ। আমরা দ্রুত হল থেকে বেরিয়ে আসি। তবে অনেকে বলছেন তিনটে বিস্ফোরণ হয়েছে।

অপর এক মহিলা হলের শেষ দিকে বসেছিলেন। তিনি ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, চোখ খুলতেই দেখলাম হলের মাঝখানে আগুন জ্বলছে। আর কালো ধোঁয়া চারদিকে। কী হল কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। অন্তত তিনবার বিস্ফোরণ হয়েছে। গোটা হল কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। যারা আহত হয়েছিলেন তাদের প্রথমে বের করা হয়। এরপর আমরা একে একে বেরিয় হল থেকে। কয়েকজন দেখলাম মারাত্মক আহত হয়েছে। একেবারে ঝলসে গিয়েছিলেন তারা।