গীতা জয়ন্তী হতে চলেছে ব্রিগেডে, রাষ্ট্রপতি–মুখ্যমন্ত্রী কি আবার একমঞ্চে আসছেন?

বড় হিন্দুত্ববাদী কারা?‌ বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে মাঝেমধ্যেই এই প্রশ্নে প্রতিযোগিতা এবং তর্ক লেগে থাকে। এই আবহে এবার শীতে হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের উদ্যোগে ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ হতে চলেছে। এটাকে গীতা জয়ন্তীও বলা হয়। এখানে দেশের দুই শঙ্করাচার্য এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে সূত্রের খবর। আর দ্রৌপদী মুর্মুর পাশেই প্রধান অতিথি হিসাবে মঞ্চ আলো করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আসতে চান আয়োজকরা। ইতিমধ্যেই দ্রৌপদী–মমতাকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর এটা যদি ঘটে তাহলে চাপে পড়ে যাবে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটবে?‌ এই কর্মসূচি নিয়েছে ‘অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ’। আর বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের সভাপতি তথা ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ বলেন, ‘এই কর্মসূচি সকলের মঙ্গলের জন্য। এখানে কোনও রাজনীতি নেই। মানব কল্যাণের লক্ষ্যে এক লাখ মানুষের সমাবেশ করব। সমবেত কণ্ঠে তাঁরা গীতা পাঠ করবেন। এটা আগে কোথাও কখনও হয়নি। আমরা রাজ্যে সনাতন ধর্মের সব সংগঠন, আশ্রমকেই যোগদানের আবেদন জানিয়েছি। সব রাজনৈতিক দলের সাংসদ, বিধায়কদেরও জানাব। রাষ্ট্রপতি–মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও যাব আমরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধান অতিথি হিসাবে পেতে চাই।’

কবে হবে গীতা জয়ন্তী?‌ আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে হবে গীতা জয়ন্তীর সমাবেশ। হিন্দু সংস্কৃতিতে ওই দিনটিতে গীতা জয়ন্তী পালনের চল আছে। মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিতে গীতার জন্ম হয়েছিল বলে মনে করা হয়। বাংলায় গীতা জয়ন্তী পালনের খুব একটা চল নেই। এই বিষয়ে প্রদীপ্তানন্দ বলেন, ‘‌বাংলায় বহু মহাপুরুষের জন্ম হয়েছে। এটা আমাদের পবিত্রভূমি। আর তার অবস্থা এখন সংকটে। তাই ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি করা হবে। এতে মানুষের মঙ্গল হবে। তাই রাষ্ট্রপতি এবং মুখ্যমন্ত্রীকে এখানে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।’‌

আরও পড়ুন:‌ বারাসতে ১৭টি বিগ বাজেটের কালীপুজো, প্রত্যেকটিতে নোডাল অফিসার নিয়োগ পুলিশের

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আগামী ২৪ ডিসেম্বর রবিবার। সেদিন সকাল ৯টা থেকে জমায়েত হবে। গীতাপাঠ শুরু হবে ১০টায়। মোট পাঁচটি বাছাই করা অধ্যায় পাঠ হবে। অনুষ্ঠান শেষ দুপুর ১২টায়। এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী এবং দ্বারকার শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী। তবে এই কর্মসূচিতে রাজনীতি নেই। এখানের এক সদস্য বলেন, ‘সকল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে জোটবদ্ধ রাখার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বাংলায় নানা বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। সেসবের জ্ঞান এখান থেকে দেওয়া হবে। সকলকে এক ছাতার তলায় আনাই লক্ষ্য।’‌