Jyotipriya Mallick questioned by ED: আগামী ১০ দিনের ঠিকানা সিজিও কমপ্লেক্স, সকাল থেকেই টানা জিজ্ঞাসাবাদ জ্যোতিপ্রিয়কে

হাসপাতাল থেকে গতকালই ছুটি পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাতেই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। বাড়ি থেকে জামা ও খাবারও পাঠানো হয়েছিল মন্ত্রীর জন্য। তবে রাতে আর জ্যোতিপ্রিয়কে জেরা করা হয়নি বলে জানা যায়। তবে মঙ্গলে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। মন্ত্রীকে আজ টানা জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ইডির পরিকল্পনা ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমানকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার। তবে মন্ত্রীর শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। কারণ বাকিবুরের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। অপরদিকে মন্ত্রীর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু হয় হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর থেকে। তদন্তকারীদের মত ছিল, একান্ত জেরায় যে সব বিষয় বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয় অস্বীকার করে এসেছে, মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে হয়ত সেটা আর তাঁরা করতে পারবেন না। তবে আপাতত সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় ইডি অন্যদিকে তদন্তের মোড় ঘোরাচ্ছে।

এর আগে রেশন দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে তল্লাশি অভিযান চলে ১১টি চাল কলে। সেখান থেকেই নাকি জানা গিয়েছে, একাধিক শেল কোম্পানির মাধ্যমে রেশনের টাকা নয়-ছয় হয়েছে। ইডির দাবি, সেই সব ভুয়ো সংস্থা নিজের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য এবং বাকিবুরের মতো ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে চালাতেন জ্যোতিপ্রিয়। মোট ৯৫ কোটি টাকা তছরুপ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে। এই আবহে জ্যোতিপ্রিয়র পারিবারিক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বালুর স্ত্রী এবং মেয়ের উপার্জনের ওপরও নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। এই আবহে আয়কর রিটার্নের নথি খতিয়ে ইডি জানতে পেরেছে, জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে প্রিয়দর্শিনী নাকি টিউশন পড়িয়ে ৩.৩৭ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন।

প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর বার বার উঠে এসেছিল জ্যোতিপ্রিয়র নাম। এদিকে সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বাকিবুর রহমানের অন্তত ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে। নামে – বেনামে, আত্মীয়দের নামে এই বিপুল সম্পত্তি। এগুলি রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্য করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অন্তত ৬টি সংস্থায় শেয়ার রয়েছে বাকিবুরের। সেই শেয়ার মিলিয়েই বাকিবুরের সম্পত্তি প্রায় ৫০ কোটি। নিউ টাউন, রাজারহাট, পার্কস্ট্রিটে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে তার। বাকিবুরের একাধিক হোটেল, পানশালাও রয়েছে। বিদেশেও তার সম্পত্তি রয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, বাকিবুরের ফ্ল্য়াট থেকে সরকারি দফতরের প্রচুর স্ট্য়াম্প পাওয়া গিয়েছিল। সেই স্ট্যাম্প কী জন্য ব্যবহার করা হত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই আবহে বকিবুরের দুর্নীতির সঙ্গে মন্ত্রী যোগের অভিযোগ বারংবার উঠেছে। আর শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতারও করে ইডি। তবে তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে দু’দিন হাসপাতালে কাটিয়ে অবশেষে ইডির হেফাজতে গেলেন বালু।