মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কোনও বেতন নেন না তিনি। তাই রোজ রোজ নবান্নে আসার দায়ও নেই তাঁর। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ৫০ দিন পর নবান্নে পা রাখেন মমতা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা বলেন, ‘আরে নবান্নে না – এসেছি, আমি নবান্নের ছোট ঘরে থেকেছি। তাতে কী যায় আসে। কে ক’টা দিন অফিসে যায়? বড় বড় কথা, আমাকে আসতে হবে…. আমি কি টাকা নিই না কি? মাইনে নিই না কি? বিনা পয়সায় স্বেচ্ছাশ্রম দিই। আমি সরকারি কর্মচারী ভাই বোনেদের মতোই অফিস করি। মানুষ অসুস্থ হলে ১০ দিন ছুটি নিতেই পারে’।
বলে রাখি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথম দিন থেকেই কোনও বেতন নেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতীকী বেতন হিসাবে মাসে নেন ১ টাকা করে। পুজোর আগে বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব বিধানসভায় পেশের সময় মুখ্যমন্ত্রীর বেতন বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি তিনি। তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত খরচ চলে কী করে, এব্যাপারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কথা জানিয়েছেন মমতা। কখনও বলেছেন, ছবি বিক্রির উপার্জন থেকে তাঁর চলে যায়। কখনও বলেছেন বই বিক্রির রয়্যালটি থেকে তাঁর সংসার খরচ চলে।