কৃষি কর্মকর্তার লাশ হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে আফসানা হক সাথী (৩৪) নামে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পুলিশ জানায়, ওই কৃষি কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখি হচ্ছে।

সাথী জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়ার (বর্ডার বাজার) পরিবার পরিজন নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আফসানা হক সাথী দুই ছেলে সন্তানের জননী ও সদর উপজেলায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন।

নিহতের বাবা ফজলুল হক বলেন, সাথী সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছিল। ২০১১ সালে জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের আলী হায়দারের ছেলে ইমরান খান সবুজের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি ছেলে সন্তান জন্ম লাভ করে। বিয়ের পর থেকেই সবুজ যৌতুকের জন্য একাধিকবার মারধর করে। গত কয়েকদিন আগে সবুজ প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া করতো। 
তিনি দাবি করেন, বুধবার সকালে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে সবার অজান্তে পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে সবুজ তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সাথী মারা যায়। মৃত্যুর খবর পেয়ে সবুজ হাসপাতালে সাথীর লাশ রেখে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে সাথী নামে এক সরকারি কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত জেনেছি। আইনি বিষয়টি এখন পুলিশ দেখছে। এর বেশি কিছু এখন পর্যন্ত আমরা অবগত নই।