Food poisoning in Lakshmi Puja Prasad: লক্ষ্মীপুজোর বাসি প্রসাদ খেয়ে মৃত্যু ৪ বছর বয়সি শিশু সহ ৩ জনের, অসুস্থ আরও বহু

লক্ষ্মীপুজোর দিনে প্রসাদে তৈরি হয়েছিল খিচুড়ি। সেই খিচুড়ির প্রসাদই আবার খাওয়া হয়েছিল পরের দিন। তার জেরেই বীরভূমে মৃত্যু হল তিনজনের। এদিকে সেদিন সেই খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন। জানা গিয়েছে, বীরভূমের রাজনগরের মালিপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। এই মৃত্যুর ঘটনা আগে ঘটলেও তা সামনে আসে কিছুটা দেরিতে। জানা গিয়েছে, প্রসাদ বিতরণের পরদিনই গ্রামের অনেকেই একে একে হাসপাতালে ভরতি হতে শুরু করেন। তার মধ্যে কারও বমি, কারও পেটে ব্যথা, কারও পেট খারাপ। পরে দেখা যায়, হাসপাতালে যারা যারা গিয়েছেন, তারা সকলেই লক্ষ্মীপুজোর বাসি খিচুড়ি খেয়েছিলেন। সেই খিচুড়ির জেরেই শেষে তিনজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে এক শিশু কন্যাও রয়েছে। (আরও পড়ুন: ‘মা দুর্গার কৃপায়’ বাংলায় কর্মসংস্থান ৩ লাখের, ‘মডেল’ তুলে ধরলেন মমতা)

রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতরা হলেন – সুশান্ত মালাকার (৪৫), পার্বতী বাগদি (৪), পার্বতীর দাদু সাধুচরণ বাগদি (৫৫)। এর মধ্যে সাধুচরণের মৃত্যু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অসুস্থরা ভরতি আছেন সিউড়ি সদর হাসপাতালে। অসুস্থদের ওপর নজর রাখার জন্য দু’জন সহকারী সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডল।

রিপোর্ট অনুযায়ী, লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে এলাকার মন্দিরে খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল। রাজনগরের ত্রাণসমিতি ক্লাবে এই আয়োজন করা হয়েছিল। পরে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ মন্দির পরিষ্কার করার সময় অবশিষ্ট থাকা খিচুড়ি খেয়েছিলেন এলাকার কয়েকজন। এর কিছুক্ষণ পরই তাদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেদিন রাতে মৃত্যু হয় ৪ বছর বয়সি পার্বতীর। পরে বুধবার সকালে মারা যায় তার দাদু সাধুচরণ। মৃত্যু হয় সুশান্তরও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালিপাড়ায় গত এক দশক ধরে প্রত্যেক বছরই লক্ষ্মীপুজো হয় ত্রাণসমিতি ক্লাবের আয়োজনে। পুজো উপলক্ষে গ্রামবাসীদের খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও করা হয় ক্লাবের তরফে। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে গ্রামে খিচুড়ি প্রসাদ দেওয়ার পরও বেশ অনেকটা খিচুড়ি থেকে গিয়েছিল। বাড়তি খিচুড়ি রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরের দিন সেই বাসি খিচুড়ি খাওয়ার পর থেকেই গ্রামের বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডলের বক্তব্য, খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়েছে রোগীদের। এই পরিস্থিতিতে রাজনগরে চিকিৎসকের দল পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন সুপার।