‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পে ১১ চা বাগানে ২০০০টিরও ঘর বেশি নির্মাণের কাজ শুরু

চা শ্রমিকদের অস্বাস্থ্যকর, ঘিঞ্জি পরিবেশে থাকা থেকে মুক্তি দিতে ব ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ‘চা সুন্দরী প্রকল্প’ চালু করেছে। যে প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের ১১টি চা বাগানে ২০০০টিরও বেশি আবাসিক ইউনিট তৈরি করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত এই প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ১৯৭.৪০ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাড়িগুলি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়িতে ৪টি এবং আলিপুর দুয়ারে সাতটি চা বাগানে মোট ২৮৫১টি ইউনিট তৈরি। নবান্নের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বাড়িগুলি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

প্রতিটি আবাসিক ইউনিটে থাকবে দুটি ঘর, একটি বাথরুম, একটি রান্নাঘর এবং বারাদ্দা। যার অনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৫.৪৯ লক্ষ টাকা। পরবর্তীকালে মূল্যবৃদ্ধির কারণে এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬.১৮ লক্ষ টাকা।

শুধু বাসস্থান নয় বাস করার পরিকাঠামোয় গড়ে দেবে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি। বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহের ব্যবস্থা করবে বিদ্যুৎ এবং সেচ দফতর। এছাড়া স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করবে স্বাস্থ্য দফতর।

‘চা সুন্দরী’ আবাসন প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় হবে ১৯৭.৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্র মূলধন বরাদ্দ বাবদ ১০০ কোটি টাকা দেবে, যা ব্যয় হবে ‘চা সুন্দরী’ আবাসনের জন্য।

(পড়তে পারেন। রাজ্যের প্রতি জেলায় একমাস ব্যাপী বাজিবাজারের অনুমোদন দিল রাজ্য সরকারের) 

প্রসঙ্গত ২০২০’চা সুন্দরী’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দে কথা ঘোষণা করা হয়। সেই প্রকল্পের কাজ এবার শুরু হচ্ছে।

কারা পাবেন এই প্রকল্পের বাড়ি তার তালিকা তৈরি করেছে শ্রম দফতর। সেই প্রাথমিক ভাবে ১১টি চা বাগানের শ্রমিকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী বাড়ি দেওয়া হবে আবাসন প্রকল্পের। 

এর জন্য শ্রমিককে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। তাঁর বাসস্থানের, নিজের পরিচয়পত্র এবং যে চাবাগানের শ্রমিক তার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।