Natyojon: রাজরোষে নাট্যজন! যৌথ মঞ্চের ধর্না অবস্থানে নাটক করার শাস্তি? বাতিল সরকারি হলের বুকিং

অপরাধ বলতে কলকাতায় শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের ধর্না মঞ্চের সামনে নাটক করেছিল চাকদহ নাট্যজন। তারপরই কল্যাণী পুরসভার সরকারি প্রেক্ষাগৃহ বুকিং বাতিল করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ তুলেছে সংশ্লিষ্ট নাট্যজন নাট্য সংস্থা। তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠান বিরোধী নাটক করার জন্য তাদের সরকারের রোষে পড়তে হল। তবে কল্যাণী পুরসভা একেবারেই এই অভিযোগ মানতে চায়নি। তবে নাট্যপ্রেমীদের একাংশের দাবি, প্রতিষ্ঠান বিরোধীতার কণ্ঠস্বরকে রোধ করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।  

ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছে? 

বৃহস্পতিবার সকালে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না মঞ্চের সামনে হাজির হয়েছিলেন নাটকের কুশীলবরা। সেই ধর্না মঞ্চের সামনে নিয়োগ দুর্নীতি, স্কুল কলেজের অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। নাটকের নাম জগাখিচুড়ি। সেই নাটকই উপস্থাপিত করা হয়েছিল ধর্না মঞ্চের সামনে। তবে কি তারপরেই রাজরোষে পড়তে হল নাটকের দলকে? 

এদিকে ২৩-২৬ নভেম্বর পর্যন্ত কল্যাণী পুরসভার ঋত্বিক সদনে নাটক করার কথা ছিল নাট্যজনের। সেখানে ৬টা নাটক হওয়ার কথা ছিল। এই ৬টা নাটকই দেবেশ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত। তবে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি অনুষ্ঠানের জন্যই এই বুকিং বাতিল করা হয়েছে। এদিকে আগাম টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। বুকিং বাতিল হয়ে যাওয়ায় অথৈ জলে নাট্য সংস্থা। আপাতত টিকিটের দাম ফেরত দেওয়ার কথা ভাবছে নাট্য সংস্থা। 

অনেকের মতে, পশু খামার, উইঙ্কিল টুইঙ্কিলের মতো নাটক রাজরোষে পড়েছিল বাম আমলে। তা নিয়ে গোটা বাংলা জুড়ে শোরগোল পড়েছিল। তবে এবার তারই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল তৃণমূল জমানায়। চারদিনের নাট্য উৎসবের জন্য হল বুকিং করেও তা বাতিল করা হল। 

নাট্য ব্যক্তিত্ব চন্দন সেন, কমলেশ্বর মুখোপাধ্য়ায়, কৌশিক সেন এনিয়ে ফুঁসে উঠেছেন। তাঁদের মতে, এই ঘটনা মানা যায় না। দেবেশের নাটককে এভাবে বন্ধ করা হবে এটা মানতে পারছি না। কৌশিক সেন সংবাদমাধ্যমে বলেন, চাকদহ নাট্যজন যে অভিযোগটা করছেন তা আমি বিশ্বাস করছি। 

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, স্বৈরাচারী মনোভাবকে কায়েম করা হচ্ছে। এটা মানা যায় না।