আইন ভেঙে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসির বৈঠক, কড়া চিঠি উচ্চশিক্ষা দফতরের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (‌ইসি)‌ বৈঠক ঢাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজ্য সরকার। এমনকী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক নিয়ে কড়া চিঠি দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। আজ, শনিবার বিকেলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। আইন ভেঙে ইসি’‌র বৈঠক ডেকেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এই অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নেই। আর অস্থায়ী উপাচার্য ইসি’‌র বৈঠক ডাকতে পারেন না। এক্ষেত্রে রাজ্যের ‘সম্মতি’ নেওয়া হয়নি।

এদিকে উপাচার্য নিয়োগের মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। তারই মধ্যে যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে দিল বিকাশ ভবন। উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে যাদবপুরের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়ে সেই আপত্তির কথা জানানো হয়েছে। রেজিস্টারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‌এই বৈঠক রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করার সামিল। বৈঠকে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও অনুমোদন দেওয়া হবে না। অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ স্থায়ী উপাচার্য নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করার জন্য।’‌

অন্যদিকে এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, এই চিঠির পরেও বৈঠক হলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টিতে আনা হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, উপাচার্য জানান ইসির বৈঠক হবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৯ সালের ৩(৫) আইন অনুযায়ী, স্থায়ী উপাচার্যই ইসির বৈঠক ডাকতে পারেন। আর এই আইনের কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পান বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ। তিনি রাজ্যপাল নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য।

আরও পড়ুন:‌ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাস্থ্যসাথীর দুর্নীতি সামনে আনছে, বড় পদক্ষেপ স্বাস্থ্য দফতরের

ঠিক কী বলছেন উপাচার্য?‌ সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, রাজ্যপাল আর অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না। তবে এই ইসির বৈঠক প্রসঙ্গে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেছেন, ‘‌যে আইনের কথা রাজ্য বলছে, সেই আইন এখানে লঙ্ঘন করা হচ্ছে না। হয়তো ওঁরা ঠিক করে আইনটি দেখেননি। আমি রেজিস্ট্রারকে বলেছি আইনি মতামত নিয়ে আমাকে জানাতে। ওঁরা কেন এখন চিঠি পাঠাচ্ছেন সেটা ওঁরাই বলতে পারবেন। তবে আমি আইন লঙ্ঘনের কোন বিষয় দেখছি না।’‌ আর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ইসির বৈঠক ডাকার কোনও অনুমতি নেই। তারপরেও বৈঠক হলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের সামনে আনব।’‌