পর্যাপ্ত সার মিলল না কেন?‌ এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া চিঠি পাঠাল নবান্ন

বঞ্চনার পরিমাণ যেন বেড়েই যাচ্ছে। বকেয়া টাকা মিলছে না। প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এমন আবহে আরও একটি ঘটনা ঘটল। আর তার জেরে রীতিমতো কড়া চিঠি পাঠাল নবান্ন বলে সূত্রের খবর। আলু চাষ করার জন্য প্রয়োজন ৫ লক্ষ মেট্রিক টন সার। সেখানে মাত্র ২৬,১০৭ মেট্রিক টন সার পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাহলে বাকি কেন মিলল না?‌ আগের সার মজুত মিলিয়ে এখন রাজ্যে রয়েছে মোট ৫৪ হাজার মেট্রিক টন এনপিকে সার। আর তা দিয়ে আলু চাষ করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। এই অবস্থা দেখে রসায়ন এবং সার মন্ত্রকের সচিব রজতকুমার মিশ্রকে চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব গোটা পরিস্থিতি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই চিঠি লিখেছেন। ১ নভেম্বর চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই চিঠিতে স্পষ্টভাষায় বলা হয়েছে, গত অগস্ট মাসে আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাকে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন এনপিকে সার দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তারপরও নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের জন্য প্রয়োজনীয় সার তারা পাঠায়নি। এমনকী অক্টোবর মাসেই তাদের ৩ লক্ষ মেট্রিক টন সার পাঠানোর কথা ছিল। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ সার কেন মিলল না?‌ চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে। আর দ্রুত সার পাঠানোর কথা বলেছেন মুখ্যসচিব।

আজ ঠিক কী ঘটল?‌ আজ, শনিবার রাজ্যে ইডি–সিবিআইয়ের হানার মধ্যেই এবার হুগলি জেলায় আয়কর দফতর হানা দিয়েছে। এদিন কোন্নগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বেসরকারি একটি সার কারখানায় হঠাৎ হানা দেয় আয়কর দফতরের অফিসাররা। বাইরে মোতায়েন রাখা হয় উত্তরপাড়া থানার পুলিশ কর্মীদের। চারজনের একটি কেন্দ্রীয় আয়কর দফতরের দল হানা দেয় সার কারখানায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এই কারখানায় হানা দেয় আয়কর দফতরের অফিসাররা। একদিকে সার পাঠাচ্ছে না, অপরদিকে আয়কর দফতর লেলিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন:‌ ভবানীপুরে কর্মী সম্মেলন করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুরু রাজনৈতিক খেলা

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নবান্নের এক পদস্থ কর্তা জানান, এই সার না পেলে চাষিরা ভীষণ বিপদে পড়বেন। কারণ এই অভাবের সুযোগে রাজ্যে সারের কালোবাজারি বেড়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক নবান্ন। সার দফতরের কর্তা, জেলায় নিযুক্ত অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের নিয়ে ৯ নভেম্বর বৈঠকে বসবেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই সমস্যা থেকে বেরতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। ই–পস মেশিন ছাড়া যাতে কোনওভাবেই সার বিক্রি করা না হয়, সেদিকেও নজরদারি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।