Pakistan Beat New Zealand By 21 Runs (DLS) At M Chinnaswamy Stadium Get To Know

বেঙ্গালুরু: চারশোর ওপর রান তুলে নিয়েও হার। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত শুরু করেও টানা চার ম্যাচ এবার হারতে হল কিউয়িদের। এদিন পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ২১ রানে হেরে গেল কেন উইলিয়ামসনের (Kane Williamson) দল। অন্য়দিকে বাংলাদেশ (Bangladesh) ম্যাচের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের দৌড়ে ফের নিজেদের জমি শক্ত করার পথে বাবর আজমের দল। এদিনের ম্যাচে শতরান হাঁকালেন নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র (Rachin Ravindra) ও পাকিস্তানের ফাখর জামান (Fakhar Zaman)।

৪০২ রানের লক্ষ্যমাত্রা। শুরু থেকেই একটা বড় পার্টনারশিপের দরকার ছিল পাকিস্তানের। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন আব্দুল্লাহ শাফিক ও ফাখর জামান। শাফিক ৪ রান করে আউট হন। তবে ফাখর জামান বাংলাদেশ ম্যাচে যে ফর্মে ছিলেন সেই ফর্মেই এদিনও ব্যাট করেন। ইমাম উল হকের বদলে এদিন নেমেছিলেন প্রথম একাদশে। বাবরের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের স্কোরবোর্ড টেনে নিয়ে যান ফাখর। মারকাটারি ইনিংস খেলার চেষ্টা করেন শুরু থেকেই ফাখর। এদিন শতরানও পূরণ করেন তিনি। মাঝে ২ বার বৃষ্টি খেলায় বাধা হিসেবে দেখা দেয়। ৮১ বলে ১২৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৮টি বাউন্ডারি ও ১১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। বাবর আজমও ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৫.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান বোর্ডে তুলে নেয় পাকিস্তান। সেই মুহূর্তে বৃষ্টি নামে ফের। এরপর আর খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি।

এদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। এই ম্যাচেই অবশেষে কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ম্যাচ দলে ফেরেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই কিউয়ি ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং রচিন রবীন্দ্র শুরুটা দুরন্তভাবে করে। দুই ওপেনার অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়েন। তবে ৬৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙেন হাসান আলি। শর্ট বলে ৩৫ রানে আউট হন কনওয়ে। তবে দীর্ঘদিন পরে মাঠে ফিরেই নিজের ছন্দে দেখায় উইলিয়ামসনকে। 

রবীন্দ্র ও উইলিয়ামসন দ্বিতীয় উইকেটে ১৮০ রান যোগ করেন। মাত্র ২৯ ওভারেই দুইশো রানের গণ্ডি পার করে ফেলে নিউজ়িল্যান্ড। দুই তারকা ব্যাটারই তড়তড়িয়ে শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। তবে ৯৫ রানেই উইলিয়ামসনকে সাজঘরে ফিরতে হয়। তাঁকে আউট করেন ইফতিকার। অবশ্য রচিন রবীন্দ্র চলতি বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় শতরান হাতছাড়া করেননি। তিনি ১০৮ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। 

বিরাট পার্টনারশিপের পর দুই তারকা ব্যাটার আউট হলেও নিউজ়িল্যান্ড রান করার গতি কমায়নি। ড্যারেল মিচেল, মার্ক চ্যাপম্যান সকলেই দ্রুত গতিতে রান করতে থাকে। মিচেল ২৯ রানের ইনিংস খেলেন, চ্যাপম্যান ৩৯ রান করেন। ৪০তম ওভারে ৩০০ রান পূর্ণ করে নিউজ়িল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপ্স অল্পের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন। ৪১ রান করেন তিনি। মিচেল স্যান্টনার ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস করেন।