মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসার অভিযোগ, চিকিৎসক ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে তথ্য চেয়ে RTI

দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ভুল চিকিৎসায় তাঁর পায়ের ইনফেকশন সেপটিক হয়ে গিয়েছিল। কোথায় তাঁর চিকিৎসা হয়েছিল তা নির্দিষ্ট করে না বললেও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানতে চেয়েছে তাঁর কী চিকিৎসা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়ে আরটিআই (তথ্যের অধিকার আইন) করেছে সংস্থাটি। 

বিদেশ সফর থেকে ফিরে এসে মুখ্যমন্ত্রী সোজা এসএসকেএম হাসপাতলে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি হাঁটুর ব্যথার জন্য চিকিৎসা করান। চিকিৎসকদের পরামর্শের দীর্ঘদিন তিনি বাড়িতে ছিলেন। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। 

পুজো কার্নিভালের দিন তিনি বাড়ির বাইরে পা রাখেন। কার্নিভালের অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন। তার পর তিনি নবান্নে আসেন। নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলেন। সেদিন তিনি সরাসরি কোনও হাসপাতালের নাম উল্লেখ করলেও ধরে নেওয়া হয় এসএসকেএমের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। কারণ বিদেশ থেকে ফিরে সেখানেই তিনি চিকিৎসার জন্য যান। 

চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে আন্দোলনের কাজে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে। তথ্য অধিকার আইনে তারা জানতে চেয়েছে, সেপ্টেম্বরে এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসায় কোন কোন চিকিৎসকরা যুক্ত ছিলেন। তাঁদের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানতে চাওয়া হয়েছে। 

এছাড়া জানতে চাওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কী চিকিৎসা হয়েছিল বা কী কী বায়োকেমিক্যাল ও মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষা হয়েছিল। 

আরও জানতে চাওয়া হয়েছে,  মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতাল কোনও মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল কি না। যদি গঠন করা হয় তবে সেই মেডিক্যাল বোর্ডে কারা ছিলেন, তাঁদের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরও জানাতে বলা হয়েছে।

সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বা অন্য কেউ কোনও অভিযোগ জানিয়েছিলেন কি না। যদি অভিযোগ জানানো হয়ে থাকে, তবে তার প্রেক্ষিতে কী তদন্ত হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী ভুল চিকিৎসার বিষয়টি সামনে আসার পর কোনও অভ্যন্তরীণ তদন্ত হয়েছে কি না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এই চিঠিতে। 

টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিকিৎসক সংগঠনগুলির একাংশের আশঙ্কা, স্বাস্থ্য কমিশন বা মেডিক্যাল কাউন্সিলের দ্বারস্থ না হয়ে যেভাবে প্রকাশ্যে নিজের সরকার পরিচালিত উৎকর্ষ কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলছেন, তাতে আগামী দিনে চিকিৎসক নিগ্রহের পরিমাণ বাড়বে।