Explosion in Plane: বিমানে যাত্রীর ব্যাকপ্যাকে আচমকা বিস্ফোরণ! আতঙ্ক, চিৎকারের মাঝে জানা গেল আসল ‘কারণ’

তখনও বিমান রওনা দেয়নি। তার আগেই বিমানের ভিতর আচমকা এক যাত্রীর পিঠে নেওয়ার ব্যাকপ্যাকে বিস্ফোরণ ঘটে। ততক্ষণে আতঙ্কে শিউরে ওঠেন যাত্রীরা। প্রশ্ন ওঠে, পিঠের ব্যাগে এমন কী ছিল, যা থেকে ধরেছে আগুন? পরে উত্তর জানা যায় তারও। সোমবার জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনা যে যাত্রীর সঙ্গে ঘটেছে তাঁর সেলিব্রিটি হিসাবেও রয়েছে পরিচিতি। তিনি আমেরিকান আইডলের প্রতিযোগী শিল্পী জিমি লেভি। তাঁর ব্যাগটি ছিল বিমানে সামনে বসা যাত্রীর সিটের নিচে। যেভাবে বিমানে ব্যাগ রাখার নিয়ম, সেভাবেই ব্যাগটি রাখা ছিল। সেখানে ব্যাগ রেখে কার্যত ঘুমে ঢুলে পড়েন জিমি। আচকাই তাঁর গায়ে কেমন ছ্যাঁকা লাগার অনুভূতি হয়। চমকে উঠে তিনি দেখেন তাঁর ব্যাগ বিস্ফোরণ করে তা থেকে আগুনোর গোলা বের হচ্ছে। ততক্ষণে বিমানে চিৎকারে ফেটে পড়েন অনেকে। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি লেখেন,’ সোমবার আমি আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছি। নিউইয়র্ক থেকে সাউথ ফ্লোরিডায় বাড়ি ফেরার ফ্লাইটে প্রি-টেকঅফের পর ঘুমিয়ে পড়ার পর, হঠাৎ এবং ভয়ানক তাপের ঢেউ খেলে যায়, আমি জেগে উঠলাম, মনে হচ্ছে আমার মুখের দিকে গুলি ছুড়ছে।’ আমেরিকান আইডলের গায়ক জিমি এরপর কী করেছেন, তাও লেখেন পোস্টে। তিনি লেখেন, ‘আমি অবিলম্বে আমার চোখ খুললাম এবং আমার ব্যাকপ্যাকটি লক্ষ্য করলাম, আমার সিটের দিকে আসতে দেখি আগুনের একটি গোলাকে। দ্রুত তৎপর হয়ে, আমি এটিকে মাটিতে ঠেলে দিলাম এবং আগুন যাতে ছড়িয়ে না যায় সেজন্য উন্মত্তভাবে এটিতে আঘাত করতে লাগলাম।’

পরে আগুন নিভে যায় বলে জানা যায়। সেক্ষেত্রে বিমানের সমস্ত যাত্রীকে বিমান থেকে নেমে যেতে দেখা যায়। শুরু হয় তদন্ত। তখনই জানা যায়, কী থেকে বিমানে আগুন লেগেছে। জানা যায়, বেশি গরম হয়ে থাকা পোর্টেবল চার্জার থেকে এই আগুন লাগে। আমেরিকার জেটব্লু বিমানে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা ঘিরে সকলকে সতর্ক করে জিমির বার্তা,’কোথা থেকে ফোনের জিনিসপত্র কিনছেন তার বিষয়ে দয়া করে সতর্ক থাকুন। আমি এই চার্জারটি ফ্লোরিডার বোকার একচি মল থেকে কিনেছিলাম। তবে আমি মনে করে কোনও কিছুকেই এই যুগে আর বিশ্বাস করা যাবে না।’ পরে ওই ঘটনার কথা জানানো হয় জেট ব্লুয়ের তরফেও।