রাত পোহালেই দুইটি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন

রবিবার (৫ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ব্যালট পেপারে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।

নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থী হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের শাহজাহান আলম, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. রাজ্জাক হোসেন, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল হামিদ, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. মো. জিয়াউল হক মৃধা।

এ আসনে মোট ভোটার রয়েছে চার লাখ ১০ হাজার ৭২ জন। ভোটগ্রহণ হবে ১৩২ কেন্দ্রের ৮৪৫টি ভোটকক্ষে।

এছাড়া লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের চার প্রার্থী হলেন— লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ রাকিব হোসেন, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. সামছুল করিম ও আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ। এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন। ১১৫টি ভোটকেন্দ্রের ৮২৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচনে ২৬ জন নির্বাহী ও দু’জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আর লক্ষ্মীপুরের উপনির্বাচনে রয়েছে ২২ জন নির্বাহী ও একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

এছাড়া কেন্দ্র পাহারায় দুই উপ-নির্বাচনে নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ, আনসারের ১৬ থেকে ১৮ জনের ফোর্স। এছাড়া পুলিশ আনসার ও এপিবিএনের ১৬টি মোবাইল টিম ও ১১টি স্ট্রাইকিং টিম নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া র্যাবের ১৫টি মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে রয়েছে ১১ প্লাটুন বিজিবি।

আগামী ২৬ নভেম্বর পটুয়াখালী-১ আসনে উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে এই নির্বাচনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। অর্থাৎ নির্বাচিত হয়ে আসা তিন সংসদ সদস্য কোনও অধিবেশন আর পাবেন না।