Cash Recovered in Burdwan: বর্ধমানে এক গাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ৩৫ লাখ টাকা, মিলল চালকল সূত্র!

বিগত কয়েক বছর ধরেই একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হতে দেখছে বাংলা। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু হয়ে এখন তা এসে ঠেকেছে রেশনে। এরই মধ্যে রাজ্যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকবার। তাই নগদ টাকা উদ্ধার হলে এখন আর সেভাবে অবাক হয় না বাঙালি। তবে কৌতূহল হয়। এই আবহে জানা গিয়েছে, গতরাতে বর্ধমানে একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৩৫ লাখ টাকা। সেই গাড়িতে ৫ জন আরোহী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সেই আরোহীরা বেশ কয়েকটি চালকলের সঙ্গে যুক্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ দামোদর এলাকায় বেশ কয়েকটি রাইসমিলের মালিক সেই গাড়িতে ছিল। তবে যে গাড়িতে করে তারা যাচ্ছিল, সেটা কার নামে রেজিস্টার করা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: ইডেনের টিকিট কালোবাজারি কাণ্ডে নয়া মোড়, গ্রেফতার CAB সদস্য! উদ্ধার বহু টিকিট)

এদিকে এত নগদ টাকা নিয়ে সেই আরোহীরা কোথায় যাচ্ছেন, এই প্রশ্নের ভাসা ভাসা জবাব দেয় তারা। এতে সন্দেহ জেগেছে পুলিশের মনে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ সেই গাড়িটিকে আটকিয়েছিল পুলিশ। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ফ্লাইওভারের নীচে বর্ধমান আরামবাগ রোডের তেলিপুকুর মোড়ে নাকা তল্লাশির সময় সেই গাড়িকে থামানো হয়েছিল। গাড়ির ডিকি খুলতেই পুলিশ দেখে কয়েকটি ব্যাগ আছে সেখানে। ব্যাগ খুলতেই দেখা যায়, কাগজে মোড়া নগদ টাকা। গাড়িতে চালক ও দু’জন মহিলা-সহ মোট পাঁচ জন যাত্রী ছিল। সেই টাকার উৎসব বা গন্তব্য সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট উত্তর তারা দিতে পারেনি। এরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্ধমান থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।

ডিএসপি ট্রাফিক (২) রাকেশ চৌধুরী এই বিষয়ে সংবাদমাধ্য়মকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জেরা শেষ হলে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এদিকে টাকা উদ্ধারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়দের মনে কৌতূহল তৈরি হয়। নাকা পয়েন্টে ভিড় জমান অনেকে। পরে স্থানীয়দের নিয়ন্ত্রণ করে গাড়িতে থাকা পাঁচজনকে আটক করা হয়। গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। জানা গিয়েছে, জেরার সময় আরোহীরা দাবি করেন, রাইস মিলের টাকা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে এই জবাবে পুলিশ সন্তুষ্ট না হওয়াতেই তাদের আটক করা হয়।