CJI Chandrachud in HTLS 2023: ‘চিন্তাধারা বদলাতে হবে…’, বিচার ব্যবস্থায় নারীদের ‘সমান সুযোগ’ দেওয়ার বার্তা CJI-এর

সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দেশের সবকটি হাই কোর্টে মাত্র ১৩ জন মহিলা বিচারপতি রয়েছেন। বিগত ২০১৮ সাল থেকে হাই কোর্টে নিযুক্ত বিচারপতিদের মধ্যে খুবই কম সংখ্যক পিছিয়ে পড়া শ্রেণির। হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে আজ এই নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে। আর এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতির অকপট মন্তব্য, সমান সুযোগ দিলে মহিলারাও এগিয়ে আসবেন। তাঁরাও পারবেন। এর জন্যে চিন্তাধারা বদল করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন প্রধান বিচারপতি।

আজ প্রধান বিচারপতি এইচটি-র সামিটে বলেন, ‘উচ্চ বিচার ব্যবস্থায় বেশি সংখ্যক নারীদের উপস্থিতি নেই। এটাও সত্যি যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিরও খুব বেশি মানুষ বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত নয়। তবে এটা কেন হচ্ছে? আইনি পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত বাধা রয়েছে। আমাদের দেশের নামকরা আইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হতে গেলে কমন ল’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট দিতে হয়। সেই পরীক্ষাগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজিতে নেওয়া হয়। তাই এটা অনেকটাই শহর কেন্দ্রিক। সমাজে যারা ইতিমধ্যেই ভালো জায়গায় রয়েছেন, তারা বেশি সুযোগ পান এতে। তাই যাদের কাছে ইংরেজি শিক্ষার সুযোগ নেই, তারা সেখানেই আটকে যান। আবার আইনি পেশায় ঢোকার পরও অনেক বাধা রয়েছে। সিনিয়র কাউন্সেলের চেম্বারে ঢোকা অত সহজ নয়। এটা ‘ওল্ড বয়েজ ক্লাব’। নিজেদের চেনা পরিচিতদেরই সেই সুযোগ দেন বর্ষীয়ান আইনজীবীরা।’

জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের কথায়, ‘জেলা স্তরে বিচার ব্যবস্থায় বর্তমানে বেশি সংখ্যক মহিলাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। পুরুষদের থেকেও মহিলাদের নিয়োগ বেশি হচ্ছে। যেমন মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি ১২০ জন নিযুক্তদের মধ্যে ৭০ জন মহিলা ছিলেন। এর অর্থ, যদি মহিলাদের সমান সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরাও পারেন। তবে তার জন্য আমাদের সেই সমান সুযোগের আবহাওয়া তৈরি করতে হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আইনি ফার্মগুলিতে মহিলাদের নিয়োগ করা হয় না। কারণ অনেকেই ভাবেন যে মহিলারা নিজেদের সন্তান ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে অনেকটাই ব্যস্ত থাকবেন। তাই চিন্তাধারা বদলাতে হবে।’

আজ তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ বিচার ব্যবস্থায় মহিলাদের নিয়োগের বিষয়ে যদি বলি, আমরা হাই কোর্ট থেকেই সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করতে পারব। তাই আমাদের নীচু স্তরে বদল আনতে হবে। তাহলেই উচ্চ স্তরে বদল আসবে। তবে বর্তমানে বদল আসছে। যখন সুযোগ করে দেওয়া হবে, তখন দেখা যাবে মহিলারা আরও বেশি দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।’