তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, সিপিএমের বৈঠকে উঠল আওয়াজ

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু আলোচনায় বারবার উঠে এল সাংগঠনিক দুর্বলতা। আর এই দুর্বলতা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে ভরাডুবি অবশ্যম্ভাবী বলে সিপিএমের বর্ধিত রাজ্য কমিটির অধিবেশনে উঠে এল। তবে এই পরিস্থিতি মেরামত করতে আরও বেশি করে তরুণ প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। দলের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এমন আওয়াজ আজ উঠেছে বলে সূত্রের খবর। সিপিএম রাজ্য কমিটিতে আরও তরুণদের অন্তর্ভুক্তি হতে চলেছে। হাওড়াতে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশনে এই বিষয়টি নিয়ে আওয়াজ উঠেছে। ইতিমধ্যেই তিনজনকে রাজ্য কমিটিতে নেওয়ার বিষয়ে সিলমোহর দিয়েছে আলিমুদ্দিন।

এদিকে সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ ফৈয়াজ আহমেদ খান এবং যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্যকে রাজ্য কমিটিতে নেওয়া হবে বলে খবর। আবার দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া এবং উত্তরবঙ্গে দলের কিছু যুব নেতাকে রাজ্য কমিটিতে নেওয়ার জন্য আওয়াজ উঠেছে। তাতেই চাপে পড়েছে শীর্ষ নেতারা। পার্টিতে তরুণ প্রজন্মের অন্তর্ভুক্তি তো হয়েছে। কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন অন্যান্যরা। আরও দরকার তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করা বলে অধিবেশনেই বলেছেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

অন্যদিকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় রাজ্য কমিটিতে আছেন। তবে আরও বেশি করে তরুণ প্রজন্মকে টানতে কলতান দাশগুপ্ত, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, দীপ্সিতা ধর–সহ বেশ কয়েকজনের নাম চর্চায় উঠে এসেছে। এদের রাজ্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এসব আলোচনার মধ্যেই অধিবেশনে জেলার নেতারা যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল সম্ভব নয়। কারণ সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়ে গিয়েছে। গণশক্তির সম্পাদক পদে শমীক লাহিড়ীকে আনা হচ্ছে। পার্টির অন্য সব পত্রিকার দায়িত্বেও বদল করা হবে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন:‌ বাংলায় নতুন দুটি জাতীয় সড়ক গড়তে চায় রাজ্য সরকার, বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা এবং বাংলায় আলাদা করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে। এই বিষয়টিও অধিবেশনে তোলা হয়েছে। সীতারাম ইয়েচুরির সামনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ার নেতারা বক্তব‌্য রাখার সময় এই জোট নিয়ে সোচ্চার হন। তবে দুর্নীতি নিয়ে ইয়েচুরির বক্তব‌্য, ‘আমি ইডি নই, আমি তদন্ত করছি না। বিজেপির এই বিষয়টি এখন সবাই বুঝে গিয়েছে। কোথাও দুর্নীতি হয়ে থাকলে আদালতে প্রমাণ দিয়ে শাস্তি দেওয়া হোক। এভাবে বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের গ্রেফতার করে রাখা হচ্ছে সেটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন।’‌