বাকিবুর–জ্যোতিপ্রিয়র বৈঠকের তথ্য খুঁজছে ইডি, সোমবার আদালতে প্রমাণ দিতে প্রস্তুতি

রেশন দুর্নীতি অভিযোগ তুলে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। তারপর থেকে চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এখন খুঁজে বের করতে চাইছে বাকিবুর রহমানের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগ কতটা ছিল। সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আসলে ইডি এখন তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে ব্যস্ত। কারণ আগামীকাল, সোমবার আদালতে প্রমাণ দিতে না পারলে চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হবে। যেদিন রাজ্যের মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়েছিল সেদিনই ইডিকে শুনতে হয়েছিল, বাড়ির ভিত খুব নড়বড়ে। অর্থাৎ ইডির হাতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছিল না। তবে ইডি সূত্রে খবর, সল্টলেকের বাড়িতে জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের বৈঠক হতো।

ইডি যে তথ্য আগে আদালতে দিয়েছে তা রেশন দুর্নীতি প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট নয়। বিচারকের কথায় সেদিন তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। তাই এখন ইডি যা দাবি করবে আদালতে তার প্রমাণ দিতে হবে। সেটা দিতে না পারলে চাপ বাড়বে। ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ৬ তারিখ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন। ইডির তথ্য অনুযায়ী, বৈঠক হওয়া বাড়িটা একজন প্রোমোটারের। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কনভয় সেখানে আসত। ওখানে বাকিবুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক চলত। খাদ্য ভবন থেকে বেরিয়ে কনভয় করে ওই বাড়িতেই আসতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গোটা বাড়িতেই ছিল সিসিটিভি। সুতরাং এই তথ্য আদালতে দিলে জমা দিতে হবে সিসিটিভি ফুটেজও। আর তা দিতে না পারলে ইডির চাপ বাড়বে।

ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তনের পিএ’‌র বাড়িতে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। খড়দার মধ্যপাড়ার বড়িশাল পল্লীর বাসিন্দা তাপস বিশ্বাসের বাড়িতে পৌঁছন তদন্তকারীরা। বাড়িতেই তখন ছিলেন তাপস বিশ্বাস। তিনি নিজেই দরজা খুলে ইডির তদন্তকারীদের বাড়ির ভিতরে ঢোকান। সূত্রের খবর, সেখান থেকে নানা তথ্য জোগাড় করেন এবং প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তদন্ত করে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাপস বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান হয় ইডির প্রতিনিধিরা। তবে সেখান থেকে কী তথ্য পেয়েছেন?‌ তা কেউ খোলসা করেননি।

আরও পড়ুন:‌ রেশন দুর্নীতির তদন্তে নানা জায়গায় ইডির তল্লাশি, একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে

তবে কয়েকদিন আগে সিজিও কমপ্লেক্সে অমিত দে এবং অভিজিৎ দাসকে তলব করে ইডি। যদিও অমিত দে দাবি করেন, তিনি মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক নন। শুধু অফিসের কর্মী। অমিত বলেন, ‘‌সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে আমি আপ্ত সহায়ক। এটা ভুল তথ্য। আমি মন্ত্রীর অফিসের কর্মী ছিলাম। জ্যোতিপ্রিয়বাবুর সঙ্গে একই পাড়াতে বড় হয়ে উঠেছি। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার যখন আসে, তিনি যখন ক্ষমতা পান, তখন আমি তাঁর অফিসের কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলাম। আপ্ত সহায়ক হিসেবে যোগ দেন অভিজিৎ দাস।’‌