Bakibur Rahaman: বালু ছাড়া আরও এক মন্ত্রীর সঙ্গে যোগ বাকিবুরের, দাবি ইডির

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ইডির জালে জড়িয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে শুধু জ্যোতিপ্রিয় নয়, বাকিবুর নাকি আরও এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এবং সেই যোগসূত্রের প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ নাকি হাতেও এসেছে ইডির। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় হোটেল এবং কৈখালিতে পানশালার জন্য বেআইনে ভাবে জমি পেতে সেই মন্ত্রীর সঙ্গে ‘টাকার লেনদেন’ হয়েছে বাকিবুরের। দাবি করা হচ্ছে, সেই মন্ত্রীর দফতরেও নাকি নিয়মিত যাতায়ত ছিল বাকিবুরের। তদন্তকারীদের অভিযোগ, বালুর সুপারিশেই নাকি জমির লিজ দিয়ে ‘সাহায্য’ করেছিলেন সেই মন্ত্রী। (আরও পড়ুন: ‘…মমতাদি-অভিষেক সব জানেন’, মন্তব্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের)

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন চাল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। এই বাকিবুর না কি ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ। সেই সূত্রে ইতিমধ্যেই ইডির জালে জড়িয়েছেন মন্ত্রী নিজেও। আর এরই মাঝে আরও এক মন্ত্রীর সঙ্গে বাকিবুরের যোগ থাকার খবর সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, এই দুর্নীতিকাণ্ডের অন্যতম ঘুঁটি বাকিবুর রহমানের প্রতিপত্তি বাম জমানা থেকেই ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাকিবুর রহমানের একটি কিডনি নেই। সেটা তিনি দান করেছিলেন বাম জমানার এক হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। তারপর থেকেই নাকি ধীরে ধীরে খাদ্যভবনে তাঁর প্রভাব বাড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা ফুড কর্পোরেশনের কর্তাদের সঙ্গেও নাকি ঘনিষ্ঠতা ছিল বাকিবুরের।

আরও পড়ুন: ৭৬৮ কোটি নয়, টাটাকে ১৭৬৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে সরকারকে!

বাকিবুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, নিজের প্রভাব খাটিয়ে বেশি দামে কম পরিমাণ খাদ্য শস্য বিক্রি করতেন বাকিবুর। এভাবেই এই দুর্নীতির সূত্রপাত। অভিযোগ, ৮০০ বা ৬০০ গ্রাম আটা বিক্রি করে এক কেজির দাম নিতেন বাকিবুর। এমনকী কিছু ব্যবসায়ীর সূত্রে চাল যেত বাংলাদেশে। সেই রফতানির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে অনেক প্রভাবশালী নাকি বাকিবুরের ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন। এর ফলে বাকিবুরের ব্যবসা আরও ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। সম্প্রতি দিঘায় একটি বিলাসবহুল হোটেলও তৈরি করেছিলেন বাকিবুর।

এদিকে প্রাথমিক ভাবে বাকিবুরের মুখোমুখি বসিয়ে রেখে বালুকে জেরা করার পরিকল্পনা ছিল ইডির। তবে তা সম্ভব হয়নি। তবে বাকিবুরের বয়ানের ভিত্তিতেই নাকি বালুকে জেরা করা হচ্ছে। এর আগে বাকিবুর এবং বালুর আর্থিক লেনদেনের সূত্র পেয়েছিল ইডি। বাকিবুরের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে ইডি জানতে পারে দুই দফায় বালুকে ৮০ লাখ টাকা দিয়েছিল সে। তবে জেরার সময় বাকিবুর বলেছিল, সেই টাকা নাকি মন্ত্রীর অনুরোধে ঋণ হিসেবে দিয়েছিলেন বাকিবুর। বাকিবুর যে বয়ান ইডিকে দিয়েছে, তার ভিত্তিতেই জ্যোতিপ্রিয়কে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে বাকিবুরের এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে ইডি পড়েছিল – ‘MIC’-কে টাকা দিয়েছেন তিনি। এই ‘MIC’ আদতে মিনিস্টার ইন চার্জ বা তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এদিকে মন্ত্রীর কনভয়েই নাকি বাকিবুরের গাড়ি থাকত। একজন চাল ব্যবসায়ী কীভাবে মন্ত্রীর কনভয়ে গাড়ি করে যান? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।