ধানজমি দেখার সময় তেড়ে গেল ১ হাজারেরও বেশি মৌমাছি, কামড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল বীরভূমে। ধানের জমি দেখতে গিয়ে মৌমাছির কামড়ে মৃত্যু হল বৃদ্ধের। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সদাইপুর থানা এলাকার এলেমা গ্রামে। মৃতের নাম গঙ্গাধর মণ্ডল। মৌমাছির কামড়ে তিনি রাস্তাতেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: মৌমাছি হুল ফুটিয়েছে? সঙ্গে সঙ্গে কী করবেন? বাড়ির কোন জিনিসে ব্যথা কমবে

পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ছেলের সঙ্গে ধানের জমি দেখতে গিয়েছিলেন গঙ্গাধর। সেইসময় এক ঝাঁক মৌমাছি তাঁদের শরীরে একের পর এক হুল ফুটিয়ে দেয়। বৃদ্ধের পাশাপাশি তাঁর ছেলেকেও কামড়ে দেয় মৌমাছি। তবে মৌমাছির হাত থেকে বাবাকে বাঁচানোর মতো সামর্থ্য ছিল না ছেলের। একাধিক মৌমাছির কামড়ে ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ। এরপর খবর পেয়ে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে এসে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধকে এক হাজারেরও বেশি মৌমাছি কামড়ে ছিল। যার ফলে বৃদ্ধের শরীরে তা প্রতিহত করার ক্ষমতা ছিল না।

প্রসঙ্গত, এর আগেও মৌমাছির কামড়ে বীরভূম জেলায় অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া মৌমাছির কামড়ে অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সপ্তাহখানেক আগেই মৌমাছির কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক স্কুল শিক্ষকের। ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার কোতোয়ালি থানা এলাকায়। জানা যায়, ওই শিক্ষকের নাম রাকেশ কুণ্ডু। তিনি নবদ্বীপের ভাগীরথী বিদ্যাপীঠের শিক্ষক ছিলেন। দুপুর তিনটে নাগাদ স্কুটারে করে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেইসময় তাঁকে মৌমাছি কামড়ে দিয়েছিল। মৌমাছির কামড়ের কিছুক্ষণ পরেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। বমিও হচ্ছিল। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে, মাসখানেক আগে মালদার গাজোল থানার বৈরগাছি গ্রামে এক ব্যক্তির মৌমাছির কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল। মৃতের নাম ছিল আলগুর মহম্মদ(৫৮)। জানা যায়, তিনি ঝাড় থেকে বাঁশ কাটছিলেন। তাতেই ঘটে বিপত্তি। কাটা বাঁশ পড়ে পাশের আম গাছে থাকা মৌমাছির চাকের ওপরে। যারফলে চাক ভেঙে পড়ে ওই ব্যক্তির ওপর। এরপর বহু মৌমাছি ওই ব্যাক্তিকে হুল ফোটায়। ঘটনায় তিনি গুরুতর জখম হন  স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মালদহের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।