মুশফিকের পর আউট মাহমুদউল্লাহও

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৩৮.৩ ওভারে ২৫৫/৬, লক্ষ্য ২৮০ ( তাওহীদ হৃদয় ০*, মিরাজ ০*; তানজিদ ৯, লিটন দাস ২৩, সাকিব ৮২, নাজমুল হোসেন শান্ত ৯০, মুশফিকুর রহিম ১০, মাহমুদউল্লাহ ২২)

শ্রীলঙ্কা ৪৯.৩ ওভারে ২৭৯/১০ ( মাদুশাঙ্কা ০*; দুষ্মন্ত চামিরা ৪, রাজিথা ০, আসালাঙ্কা ১০৮, থিকশানা ২১, ধনাঞ্জয়া ৩৪, ম্যাথুজ ০, সাদিরা ৪১, নিসাঙ্কা ৪১, মেন্ডিস ১৯, পেরেরা ৪)

ম্যাচে ঠিকঠাবেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্রুত সময়ে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে বিদায় করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিয়েছে  লঙ্কানরা। ধরে খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহ প্রয়োজনের সময় থিকশানার বলে বোল্ড হয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ ফেরার আগে করেছেন ২২ রান।   

মুশফিকের বিদায়ে পড়লো পঞ্চম উইকেট

সাকিব-শান্ত ফেরার পর দলকে জয়ের দিকে নিচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ। ঠিক গুরুত্বপূর্ণ সময়েই মুশফিকুর রহিমকে বোল্ড করে চাপ তৈরির চেষ্টায় ছিলেন মাদুশাঙ্কা। মুশফিক আউট হয়েছেন ১০ রান করে।  

১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত শান্ত

দারুণ জুটিতে ছুটছিল বাংলাদেশ। সাকিবকে ফিরিয়ে ১৬৯ রানের সেই জুটি ভাঙেন ম্যাথুজ। এক ওভার পর শান্তকেও বোল্ড করে দুই সেট ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন তিনি। তাতে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন শান্ত। ১০১ বলে ফিরেছেন ৯০ রানে। শান্তর ইনিংসে ছিল ১২টি চার।  

রেকর্ড জুটি ভাঙলো সাকিবের বিদায়ে

পুরো টুর্নামেন্টেই বড় জুটি দেখা যায়নি বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই আক্ষেপটা দূর হয়েছে। টুর্নামেন্টের প্রথম শতরান ছাড়ানো জুটি উপহার দিয়েছেন শান্ত-সাকিব। তারা লঙ্কানদের বিপক্ষে উপহার দিয়েছেন রেকর্ড ১৬৯ রানের জুটি। তৃতীয় উইকেটের এই জুটি ভেঙেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। তাও আবার ঝড়ো গতিতে খেলতে থাকা সাকিবকে ফিরিয়ে। যার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম টাইমড আউট হয়েছেন লঙ্কান অলরাউন্ডার। সাকিববে আউট করে উদযাপনে সেই ইঙ্গিতও ছিল তার। 

সাকিব সেঞ্চুরির কাছাকাছি গেলেও ৬৫ বলে ক্যাচ আউট হয়েছেন ৮২ রানে। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ২ ছয়ের মার। 

শান্ত-সাকিবের ব্যাটে জয়ের পথে ছুটছে বাংলাদেশ

শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ম্যাচের মোমেন্টাম নিজেদের পক্ষে আনতে অবদান রাখে সাকিব-শান্ত জুটি। শান্ত ৫৮ বলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি। 

শান্ত প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি পাওয়ার পর বিশ্বকপে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন। ৬ ইনিংসে হাসেনি তার ব্যাট। অবশেষে রানে ফিরলেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন সাকিব আল হাসানও। বাংলাদেশ অধিনায়কও তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৫৬তম ফিফটি। সাকিব ফিফটি ছুঁয়েছেন ৪৭ বলে। শত রান ছাড়ানো এই জুটিতেই প্রতিরোধ গড়েছে বাংলাদেশ।     

জীবন পেয়েছেন সাকিব

ম্যাথুজকে টাইমড আউট করার পেছনে ভূমিকা ছিল সাকিব আল হাসানের। ১১তম ওভারে সেই ম্যাথুজের বলেই ক্যাচ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু তার ক্যাচ এক্সট্রা কাভারে ফেলে দিয়েছেন আসালাঙ্কা। সাকিব তখন ৭ রানে ব্যাট করছিলেন।  

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৫৭

৪১ রানে দুই ওপেনারের আউটে শ্লথ হয়ে আসে রানের চাকা। তার পরেও পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ।   

ফিরলেন লিটন দাসও

ওপেনার তানজিদের আউটের পর অপরপ্রান্তে থাকা লিটন দাস চড়াও হয়েছিলেন। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে রান তুলছিলেন তিনি। তাতে ছয় ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৪১। এর আগে ৫ রানে জীবনও পেয়েছিলেন এই ওপেনার। সপ্তম ওভারে অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি তার। মাদুশাঙ্কার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ২৩ রানে ফিরেছেন তিনি। লিটনের ২২ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চার ও দুটি ছয়। মাঝে অবশ্য তাকে কাফ মাসলের চোটে অস্বস্তিতেও ভুগতে দেখা গেছে।    

শুরুতে আউট হয়েছেন তানজিদ। শুরুতে ফিরলেন তানজিদ, জীবন পেয়েছেন লিটনও

২৮০ রানের লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক খেলছিলেন ওপেনার তানজিদ। যার মাশুলও দেন তৃতীয় ওভারে। মাদুশাঙ্কার অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে বাতাসে তুলে দেন তিনি। তাতে ৯ রানে কাটা পড়েন তরুণ ওপেনার। তার ৫ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চার। একই ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন দাসও। শর্ট বলে পুল করেছিলেন তিনি। ডিপে তার ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি কুশল পেরেরা। লিটন জীবন পান পাঁচ রানে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২৭৯

বিশ্বকাপে আর কোনও সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশের। তার পরেও চ্যাম্পিয়্স ট্রফি নিশ্চিত করতে এই ম্যাচটা দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ২৮০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কান দল। অবশ্য লঙ্কান দল যেভাবে ব্যাট করেছে তাতে স্কোর আরও বেশি হওয়া অসম্ভব ছিল না। কিন্তু সাকিব সাদিরা সামারাবিক্রমার (৪১) উইকেট নিয়ে সেই পথে বাধার সৃষ্টি করতে পেরেছেন। সঙ্গে ম্যাথুজের নাটকীয় টাইমড আউটের ঘটনাতেও লঙ্কানদের চাপে ফেলেছিলেন তিনি। সেই মুহূর্তে দায়িত্ব নিয়ে ইনিংসটা টেনে নিয়েছেন আসালাঙ্কা। তার দায়িত্বশীল সেঞ্চুরিতেই স্কোরটা ২৭৯ রান পর্যন্ত গেছে। তবে শেষ দিকে আরও রান যোগ হওয়ার আগেই লেজ দ্রুত ছেঁটে দিতে অবদান রেখেছেন বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা তানজিম সাকিব। ৮০ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। শরিফুল ৫২ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। সাকিব আল হাসানেরও ৫৭ রানে শিকার দুটি। ৪৯ রানে একটি নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। 

আসালাঙ্কার ব্যাটেই সমৃদ্ধ স্কোরবোর্ড পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেঞ্চুরির পর আউট আসালাঙ্কা, ফিরলেন রাজিথাও

টপ অর্ডারের ব্যাটাররা ইনিংস বড় করতে পারেননি। চাপের সময় হাল ধরেছিলেন আসালাঙ্কা। জুটি গড়ে পুঁজি বাড়িয়ে নেন দলের। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তিনি সেঞ্চুরে পেয়েছেন ১০১ বলে। সেঞ্চুরি করে পরের ওভারেই তানজিম সাকিবের বলে ছক্কা মেরে আরও চড়াও হয়েছিলেন তিনি। ছক্কা মেরে পরের বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন ১০৮ রানে। তার ১০৫ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছয়। আসালাঙ্কা ফেরার পর নতুন নামা রাজিথাকেও আউট করেন তানজিম সাকিব। আসালাঙ্কার বিদায়েই মূলত লড়াই শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার। চামিরা শেষ ব্যাটার হিসেবে রান আউট হলে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয় ২৭৯ রানে।   

থিকশানাকে ফেরালেও ক্রিজে আছেন আসালাঙ্কা

ধনাঞ্জয়াকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেও লঙ্কানদের চাপে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং প্রান্ত আগলে লঙ্কানদের রান বাড়িয়ে নিতে থাকেন আসালাঙ্কা। থিকশানাকে নিয়েও উপহার দেন ৪৫ রানের জুটি। ৪৬তম ওভারে থিকশানাকে (২১) ক্যাচ আউট করে জুটি ভেঙেছেন শরিফুল। ততক্ষণে অবশ্য স্কোর ২৫৮ হয়ে গেছে।  

৭৮ রানের জুটি ভাঙলেন মিরাজ

১৩৫ রানে দুটি উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরার সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দারুণ ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে ধনাঞ্জয়া-আসালাঙ্কা জুটি। ৭৮ রানের জুটিতে স্কোর ছাড়ায় দুইশ। আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে এই জুটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।  উইকেট ছেড়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ফেরার আগে ৩৬ বলে করেছেন ৩৪।  

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার টাইমড আউট ম্যাথুজ 

সাদিরা সামারাবিক্রমা আউট হওয়ার পরও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ মাঠে ঢুকলেন। কিন্তু ক্রিজে পৌঁছাতে দেরি করলেন, হেলমেট বদলাতে গিয়ে নষ্ট করলেন সময়। নিয়ম অনুযায়ী উইকেট পড়ার কিংবা অন্য ব্যাটারের রিটায়ারের পর ২ মিনিটের মধ্যে নতুন ব্যাটারকে কিংবা অন্যপ্রান্তের ব্যাটারকে বল মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। কিন্তু হেলমেট স্ট্র্যাপে সমস্যা বুঝতে পেরে সেটি বদলের জন্য নষ্ট করেন সময়। ম্যাথুজকে আউটের সিদ্ধান্ত জানান আম্পায়াররা। সমস্যার কথা তুলে ধরে তাদেরকে লঙ্কান ব্যাটার বুঝালেও মন গলেনি। আপিল তুলে নিতে সম্ভবত সাকিবদের কাছেও শরণাপন্ন হন ম্যাথুজ। বাংলাদেশ তাদের সিদ্ধান্তে অটল ছিল। কোনও বলের মুখোমুখি না হয়ে হতাশায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন ম্যাথুজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথমবার এমন আউটের ঘটনা ঘটলো।

চার মারার পরের বলে সাকিবের শিকার সাদিরা

সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালাঙ্কার জুটি বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ৬৩ রানে তাদের বিচ্ছিন্ন করা গেছে। ২৪তম ওভারে সাকিব আল হাসানের প্রথম বলে সুইপ করে শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মারেন সাদিরা। পরের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হন লঙ্কান ব্যাটার। ৪২ বলে চারটি চারে ৪১ রান করেন সাদিরা। ১৩৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা।

সাদিরা-আসালাঙ্কা জুটিতে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ

৭২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালাঙ্কার জুটিতে। ২০ ওভার শেষে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে তাদের স্কোর ১১৩ রান।

সাকিবের পর তানজিমের আঘাতে কাঁপলো শ্রীলঙ্কা

৬ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনে জোড়া আঘাত করলো বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ১৯ রানে কুশল মেন্ডিসকে শরিফুল ইসলামের ক্যাচ বানান। পরের ওভারে তানজিম হাসান বোল্ড করেন পাথুম নিসাঙ্কাকে। ৮ চারে ৪১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার। ৭২ রানে ৩ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা।

তানজিম ফেরান নিসাঙ্কাকে

তৃতীয় বলে লঙ্কান অধিনায়ককে ফেরালেন সাকিব

১১তম ওভারে তানজিম হাসানের বলে চার ও ছয় মেরে জ্বলে ওঠার ইঙ্গিত দেন কুশল মেন্ডিস। ওই ওভারে ১২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। সাকিব আল হাসান বল হাতে নিতেই তার ইনিংসের ইতি ঘটে। বাংলাদেশের অধিনায়ক তার প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে প্রতিপক্ষ দলের ক্যাপ্টেনকে শরিফুল ইসলামের ক্যাচ বানান। ৩০ বলে একটি করে চার ও ছয়ে ১৯ রান করেন মেন্ডিস। ৬৬ রানে ২ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। 

পাওয়ার প্লেতে ৫২ রান দিলো বাংলাদেশ

বল হাতে দারুণ শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের শেষ বলে মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ক্যাচে কুশল পেরেরা ফিরে যান। শরিফুল ইসলামের এই উদযাপন তৃতীয় ওভারে ম্লান হয়ে যায়। পাথুম নিসাঙ্কা তিন চারে ১২ রান তোলেন। পাওয়ার প্লেতে এটাই ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে ওভার। তানজিম হাসান বল হাতে দুটি বাউন্ডারিতে ৯ রান দেন। শুরুটা ভালো হলেও পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান তুলে ভালো অবস্থানে শ্রীলঙ্কা।

শরিফুলের উইকেট উদযাপন

পেরেরাকে ফেরালেন শরিফুল

প্রথম ওভারেই সাফল্য পেলো বাংলাদেশ। কুশল পেরেরাকে ইনিংসের ষষ্ঠ বলে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান শরিফুল ইসলাম। তৃতীয় বলে চার মেরেছিলেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার। বাংলাদেশি পেসারের এক্সট্রা বাউন্সের বল ড্রাইভ করেছিলেন পেরেরা। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ফার্স্ট স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারের সামনে দিয়ে বাঁহাতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন উইকেটকিপার। ৫ রানে প্রথম উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা।

টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ

দিল্লিতে চলছে বায়ুদূষণ। গত তিন দিন ধরে ক্রিকেটারদের সুস্থ থাকাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সেই চ্যালেঞ্জ জয় করেছে। বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে খেলতে নামছে। টসে জিতে বাংলাদেশ ফিল্ডিং নিয়েছে।

শিশিরের কারণে রাতে বল করা কঠিন হবে ভেবেই সাকিব আল হাসান আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তানজিম হাসান সাকিব মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কা দলে দুটি পরিবর্তন, ধনঞ্জয়া ও কুশল পেরেরা ঢুকেছেন করুণারত্নে ও হেমন্তের বদলে।

টস করছেন সাকিব

এশিয়ার দুই প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দিল্লিতে মুখোমুখি হচ্ছে। বায়ুদূষণের কারণে অনুশীলনে ভোগান্তির পর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নামছে তারা। গাণিতিকভাবে এখনও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা টিকে আছে লঙ্কানদের। অন্যদিকে সবার আগে সেমিফাইনালের স্বপ্ন ভাঙা বাংলাদেশের চোখ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ২০২৫ সালে পাকিস্তানে হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের টিকিট পেতে সাকিব আল হাসানদের শীর্ষ আটে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করতে হবে। এখন তারা ৯ নম্বরে। টানা ছয় ম্যাচ হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসারও মিশন তাদের।

বাংলাদেশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহীদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলাম।

শ্রীলঙ্কা: পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, মাহিশ থিকশানা, কাসুন রাজিথা, দুষ্মন্ত চামিরা, দিলশান মাদুশাঙ্কা।