Mamata Banerjee: এক পয়সাও নিই না, তবু আমরা চোর? নিজের কেন্দ্রে বিজয়া সম্মিলনীতে প্রশ্ন মমতার

আমি এক পয়সাও নিই না, তাও আমি চোর? নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে দলীয় বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে এই প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম না করলেও স্পষ্ট বোঝালেন, স্নেহের বালুর পাশে এখনো রয়েছেন তিনি। বলেন, জন্মভূমির সমালোচনা মেনে নিতে পারবেন না তাই চুপচাপ আছেন তিনি।

সোমবার সন্ধ্যায় বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘আমি চাই না আমার দেশকে নিয়ে অন্য লোক সমালোচনা করুক। আমি আমার জন্মভূমিকে ভালোবাসি। তাই আজও চুপচাপ আছি’।

আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মাসে দেড় লক্ষ টাকা মাইনে পেতে পারি। সব কিছু পেতে পারি। সাত বারের সাংসদ আমি। প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে পেনশন পেতে পারি। কিন্তু আমি কোনও পয়সা নিই না। আমার তো এতদিনে ৪০ – ৫০ কোটি টাকা জমানো হয়ে যাওয়ার কথা। নিই না তো এক পয়সাও। একবারও কেউ স্বীকার করেছেন? কই করেননি তো? তবু আমরা চোর?’

জ্যোতিপ্রিয়র নাম না করে মমতা বলেন, ‘একটা বিচ্ছিন্ন সমস্যা নিয়ে…. আর সব চেয়ে বড় চোর যারা তারা মুখে গোবর লেপে বসে আছে। আর আজ পুলিশের মুখে আটা ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে’।

মমতার দাবি, ‘উই আর ফেসিং দ্য লিগাসি। ৩৪ বছর চাষিদের থেকে চাল কেনা হত না। এটা পরিষ্কার করতে গিয়ে আমার ১০ বছর লেগেছে। ১ কোটি রেশন কার্ড আমরা বাদ দিয়েছি। ওই ১ কোটি রেশন কার্ডে বাম জমানায় চাল তোলা হত। ওই রেশন কার্ড ব্যবহার করে ভুয়ো ভোট দেওয়া হত। এই ১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড বাদ দিতে আমার ৭ – ৮ বছর সময় লেগেছে। আমরা রেশন কার্ড সব ডিজিটাইড করে দিয়েছি’।

শেষে তৃণমূলনেত্রীর দৃপ্ত ঘোষণা, ‘যত লড়াই আসে আসুক। যত সংগ্রাম আসে আসুক। বলুন এই সংগ্রামের সঙ্গে আপনারা থাকবেন কি না। ভয়ে লুকিয়ে পড়বেন না তো? যারা ছলনা করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে আগামী দিন’।

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের জবাবে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর বাম নেতাদের জেলে ভরতে তো তিনি চেষ্টার কসুর করেননি। কিন্তু কোনও দুর্নীতি বার করতে পারেননি বলে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। ১০ বছর পরে মানুষ আর এসব কথা শুনবে না। রাজ্যের ২.৫ কোটি রেশন কার্ডের রেশন প্রতি সপ্তাহে চুরি করেছে ওর সরকার।’