ঢাকায় দিনে গড়ে ৫ অগ্নিকাণ্ড, সবচেয়ে বেশি মিরপুরে

গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৪৭৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নিদুর্ঘটনায় সারা দেশে ১০ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকাতেই ১৬৩টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকায় গড়ে দিনে ৫টিরও বশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। আর ঢাকার মধ্যে মিরপুর এলাকাতেই অগ্নিকাণ্ড বেশি ঘটছে। 

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অক্টোবর মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৪৭৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫০১টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩৯টি, রাজশাহী বিভাগে ২১৩টি, খুলনা বিভাগে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগে ৫৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬৬টি ও রংপুর বিভাগে ১৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর মাস তুলনায় অক্টোবর মাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমেছে। সেপ্টেম্বরে সারা দেশে ১ হাজার ৫৫৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে। 

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজধানীর মিরপুর সর্বোচ্চ আগুনের ঘটনা (২২টি) ঘটেছে। এছাড়াও রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ১৩টি, ডেমরাতে ৯টি, তেজগাঁও ১২টি, বারিধারায় ৯টি, উত্তরায় ১০টি ও পোস্তাগোলায় ১০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

আরও জানানো হয়, আগুন ছাড়াও অক্টোবর মাসে সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের ৮৪৬টি দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এতে ৮৩০ জন আহত ও ১৬৭ জন নিহত হন। যার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৬৯০টি। এছাড়া রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার জনিত দুর্ঘটনা ৩৯টি, গ্যাস লাইনে ত্রুটিজনিত ১৩টি, লিফট দুর্ঘটনা ২১টি, বজ্রপাত ৩টি, নদী ও পানিতে ডুবে যাওয়ার ৫৮টি দুর্ঘটনা ঘটে। সারাদেশে নদী, পুকুর বা পানিতে ডুবে ৩৮ জন নিহত হন। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৪টি বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৯৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২০টি, রাজশাহী বিভাগে ২২২টি, খুলনা বিভাগে ৯৬টি, সিলেট বিভাগে ৩৫টি, বরিশাল বিভাগে ৪০টি ও রংপুর বিভাগে ৯৩টি দুর্ঘটনা ঘটে।  

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রাপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান, অক্টোবর মাসে সারা দেশ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৮১৭টি কলের মাধ্যমে সেবা দেয়। এছাড়া ১ হাজার ১৩৯টি কলের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬৪ জন রোগী পরিবহন করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয় ফায়ার সার্ভিস।