Upper primary counselling: উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সিলিংয়ের প্রথম দিনে সম্মতিপত্র পেলেন ২৬৬ জন, অনুপস্থিত ৩৫

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে সোমবার। এদিন সকাল থেকে সল্টলেকে এসএসসির নতুন ভবনে কাউন্সেলিং শুরু হয়। আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে কাউন্সেলিং। কাউন্সেলিং পর্বে মেনে স্কুল বেছে নিচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁদের কোনও সুপারিশ পত্র দেওয়া হচ্ছে না, তার পরিবর্তে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে সম্মতিপত্র। প্রথম দিনে ২৬৬ জন প্যানেল ভুক্ত প্রার্থীকে সম্মতিপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন: কোন স্কুলে চাকরি হবে? উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকদের জন্য তালিকা প্রকাশ SSC-র

স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ১৩০০০ জনের কিছু বেশি। আদালতের নির্দেশ মেনে প্রার্থীদের আপাতত সুপারিশপত্র না দিতে পারলেও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কোন প্রার্থী কোন স্কুল বেছে নিয়েছেন তা উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে এসএসসির তরফে। কাউন্সেলিংয়ের প্রথমেই প্রার্থীদের নথি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেখানে ডিগ্রি থেকে ট্রেনিং, এমনকী জাতিগত শংসাপত্র সঠিক রয়েছে কিনা তা যাচাই করে নিচ্ছে এসএসসি। মেধাতালিকা অনুযায়ী প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হচ্ছে বলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। এসএসসি সূত্রের খবর, প্রার্থীরা যাতে স্কুল বেছে নিতে পারেন তার জন্য ভবনের ভিতরে বেশ কয়েকটি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। প্রার্থীরা কোনও স্কুল বেছে নিলে সেক্ষেত্রে স্ক্রিনে ডিসপ্লে হচ্ছে।

প্রার্থীরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের নির্দেশ মতো সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ দফতরে রিপোর্টিং করেন। এরপর কাউন্সিলিং শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। তা চলে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, প্রথম দিন ৩০৩ জন প্রার্থীকে কাউন্সেলিংয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে সম্মতিপত্র পেয়েছেন ২৬৬ জন। প্রার্থী বাকি ৩৭ জনের মধ্যে ৩৫ জন অনুপস্থিত ছিলেন এবং বাকি দুজনের মধ্যে একজন শূন্য পদ না থাকায় স্কুল বেছে নিতে পারেননি। এছাড়া অন্যজনের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই প্রার্থীর নাম মহাশ্বেতা পাঠক তিনি বাতিল হওয়ার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবার তিনি আশাহত হলেন বলে জানান। যদিও চেয়ারম্যান জানান, পার্শ্বশিক্ষকদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষিত পদের জন্য বয়সে ছাড় থাকে। মেধা তালিকা যতটা সম্ভব নির্ভুল ভাবে করার চেষ্টা করা হয়েছে।