India-Bhutan Rail Link: এবার ট্রেনে করেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ভুটানে! শীঘ্রই শুরু হবে কাজ

সম্প্রতি ভুটানের রাজা জিগমি খেসার নামগয়াল ওয়াংচুক ভারতে সফরে এসেছেন। দিল্লিতে গতকাল তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভারত ও ভুটান যুক্ত হবে রেল পথের মাধ্যমে। এর জন্য শীঘ্রই সমীক্ষা শুরু হবে। ভারতের সাহায্যেই ভুটান পর্যন্ত চলে যাবে সেই রেলপথ। অবশ্য শুধু রেল পরিষেবা নয়, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও ভারত সাহায্য করতে চলেছে ভুটানকে। গতকাল ওয়াংচুক এবং মোদীর বৈঠকে এই সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে। (আরও পড়ুন: বন্দে ভারত, বুলেটের পর ভারতে ছুটবে হাইপারলুপ ট্রেন? কী বলছে নীতি আয়োগ)

জানা গিয়েছে, অসমের কোকরাঝাড় এবং ভুটানের গেলেফুর মধ্যে দিয়ে রেল লিঙ্ক তৈরি হতে পারে। এর জন্য জায়গা খুঁজতে চূড়ান্ত সমীক্ষায় সম্মত হয়েছেন ওয়াংচুক। ভুটানকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। এই রেল লিঙ্কের বিষয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এমন সময় আলোচনা হল, যখন সীমান্ত বিবাদ নিয়ে চিনের সঙ্গে ভুটানের আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক দিক দিয়ে এই রেলপথের আলোচনা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে গতকাল মোদীর সঙ্গে বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়েও আলোচনা হয় ওয়াংচুকের।

জানা গিয়েছে, যে রেলপথ তৈরি হবে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের বানারহাটের সঙ্গে ভুটানের সামসের জুড়বে। অসমের দারাঙ্গা ও ভুটানের সামদ্রুপে অভিবাসন চেকপয়েন্ট খোলা হবে। এদিকে ভুটান পর্যন্ত রেললাইন নিয়ে যাওয়া নিয়ে যখন পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তখন সিকিম পর্যন্ত রেললাইন নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে জোর কদমে। সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ আগামী বছরই সম্পন্ন হবে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এরপর সেই ট্রেন লাইন সম্প্রসারিত হবে সিকিম-চিন সীমান্তের নাথু লা পর্যন্ত।

সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইনে থাকবে পাঁচটি স্টেশন। সঙ্গে এই লাইনে থাকবে ১৪টি টানেল, ২২টি ব্রিজ। এই রেললাইনের ৩৮ কিলোমিটারই টানেলের মধ্যে দিয়ে যাবে। এমনকী একটি স্টেশনও ভূগর্ভে থাকবে। জানা গিয়েছে, এই রুটের পাঁচটি স্টেশনের মধ্যে তিস্তাবাজার স্টেশনটি মেট্রোর মতো আন্ডারগ্রাউন্ড হবে। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল লাইনে যাত্রী পরিষেবা চালু হওয়ার পর এই লাইন সম্প্রসারণের দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে। সেই সময় এই লাইন সরাসরি চিন সীমান্ত পর্যন্ত চলে যাবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও সারা বছর এই রেললাইন চালু রাখা যাবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।