Eden CWC Ticket Controversy in JU: ইডেনের টিকিট নিয়ে থামছেই না বিতর্ক, এবার নাম জড়াল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

ইডেনে ক্রিকেট বিশ্বকাপের টিকিট নিয়ে বিতর্ক থামার নাম নেই। আগেই টিকিটের কালোবাজারির বিষয়টি সামনে এসেছিল। যার জেরে সিএবি থেকে বিসিসিআই কর্তাদের পর্যন্ত ময়দান থানায় তলব করা হয়েছিল। আর এবারে টিকিট বিতর্কে নাম জড়াল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। যাদবপুরের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংগঠন এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, ইডেনের যে টিকিট বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে এসেছিল, তা বণ্টনে কারচুপি হয়েছে। শুধু তাই নয়, বরাদ্দ হওয়া টিকিট অনেক চড়া দামে বাইরের লোকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ছাত্র সংগঠনেক সদস্যরা। (আরও পড়ুন: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন শিক্ষকদের, আর মমতার সরকার ভাতা বাড়াচ্ছে এই সরকারি কর্মীদের)

রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের জন্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মোট ২৬টি টিকিট পেয়েছিল। তার মধ্যে ৬টি টিকিট ছিল ক্লাবহাউজের। সেই ৬টার মধ্যে নাকি ৪টি টিকিট নিয়েছিলেন যাদবপুরের অন্তরবর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এদিকে যে আধিকারিক বা শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বোর্ডের সদস্যই নন, তারা নাকি ৭টা টিকিট পেয়েছিলেন। এদিকে স্পোর্ট বোর্ডের ১০ জন সদস্য মোট ১৫টি টিকিট পেয়েছিলেন। এই আবহে ফেটসুর অভিযোগ, স্পোর্টস বোর্ডের সদস্য না থাকা প্রফেসর বা কর্মীরা কীভাবে টিকিট পান? এই নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠেছে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের দিকেই। এই নিয়ে মুখ খুলেছেন বুদ্ধদেব সাউ। তাঁর বক্তব্য, ‘যদি কেউ বলে থাকে যে আমার কথায় টিকিট বণ্টন হয়েছে, তাহলে সে মিথ্যা বলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বা আমার ছেলে ইডেনে যায়নি খেলা দেখতে। আমি যে টিকিট পেয়েছিলাম, সেগুলি শিক্ষকদের মধ্যেই বিলিয়ে দিয়েছিলাম।’

এদিকে জানা যায়, ১ নভেম্বর থেকে ম্যাচের দিন পর্যন্ত টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে শহরে ১৬ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের থএকে ৯৬টি টিকিট উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই টিকিটগুলিকে চড়া দামে বিক্রি করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই আবহে টিকিটগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ কালোবাজারি দমন আইন, ১৯৪৮ ও ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ঠ ধারায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। কালোবাজারির অভিযোগ তুলে ময়দান এবং এন্টালি থানায় মোট ৭টি এফআইআর হয়েছে। এই আবহে বুকমাইশো-এর কর্তাদের তলব করেছিল পুলিশ। পরে সিএবি কর্তাদেরও তলব করা হয়। সেই মতো ৪ নভেম্বর ময়দান থানায় হাজির হন সিএবি কর্তারা। টিকিটের কালোবাজারি মামলার তদন্তে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনিকে নোটিশ পাঠায় কলকাতা পুলিশ।

এবার বিশ্বকাপে একটি সেমিফাইনাল এবং একটি ভারতের ম্যাচ-সহ মোট পাঁচটি ম্যাচ পেয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। বিশেষত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল এবং একটি ভারতের ম্যাচের টিকিটের জন্য ব্যাপক চাহিদা ছিল। এরই মাঝে টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগ ওঠে। এবার এই টিকিট বিতর্কে নাম জড়িয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরও।