সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ফেয়ারওয়ার্ক ইন্ডিয়ার রিপোর্ট। তাতে কর্মীদের ন্যুনতম বেতন দেওয়ার নিরিখে বিভিন্ন সংস্থাকে বিভিন্ন নম্বর দেওয়া হয়েছে। ফেয়ারওয়ার্ক ইন্ডিয়া টিমের ২০২৩ সালের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, কর্মীদের ন্যুনতম বেতন দেওয়ার ব্যাপারে প্রথম স্থানে বিগবাস্কেট। এর নিচে রয়েছে জোম্যাটো, সুইগি, ফ্লিপকার্ট, আরবান কোম্পানি ও অন্য সংস্থাগুলি। এদিকে কর্মীদের ন্যুনতম বেতন সুনিশ্চিত করতে নয়া ব্যবস্থা নিচ্ছে আরবান কোম্পানি।
(আরও পড়ুন: মুখের ব্যাকটেরিয়া সাফ করতে চিবোতে পারেন আখ! জানুন আরও গুণাগুণ)
প্রসঙ্গত, ন্যুনতম বেতন সরকার নির্ধারিত একটি নির্দিষ্ট বেতন। এই বেতনের হিসেব অবশ্য একেক জায়গায় একেকরকম। অর্থাৎপশ্চিমবঙ্গে এর অঙ্ক যা, দিল্লিতে তা নয়। আবার বেঙ্গালুরুতে হয়তো অন্য একটা অঙ্ককে ধরা হয় ন্যুনতম বেতন হিসেবে। তাই বেতনের এই হিসেবকে আঞ্চলিক নিরিখেই ধরা হয়। প্রতি ঘন্টায় আঞ্চলিক ন্যুনতম বেতনের নিরিখে তৈরি করা হয়েছে এই রিপোর্ট। সেই মাফিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে অধিকাংশ সংস্থাতেই কর্মীরা ওই বেতন পান না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহকারী সংস্থা বিগবাস্কেট ন্যুনতম বেতন দেওয়ার নিরিখে তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে।
(আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় ৭০ শতাংশ মৃত্যু হয় একটাই কারণে! তথ্য দিয়ে জানাল কেন্দ্র)
ফেয়ারওয়ার্ক ইন্ডিয়া টিমের রিপোর্ট তৈরিতে সাহায্য করে সেন্টার ফর আইটি অ্যান্ড পাবলিক পলিসি, ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বেঙ্গালুরু ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকার কেউই ছয়ের বেশি নম্বর পায়নি দশে। দশে ছয় পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে বিগবাস্কেট। এর পর দশে পাঁচ পেয়েছে ব্লাসমার্ট, সুইগি, আরবান কোম্পানি, জোম্যাটো। দশে চার পেয়েছে জেপটো। তিন পেয়েছে ফ্লিপকার্ট।
এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্মীদের ন্যুনতম বেতন সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে আরবান কোম্পানি এক্সটারনাল অডিটর বা হিসেবরক্ষককে দিয়ে অডিট করানোর কথা ভাবছে। বিভিন্ন এলাকা অনুযায়ী, কর্মীরা যাতে নিয়মিত ন্যুনতম বেতন পায় তার জন্য এই পদক্ষেপ। ৩১ অক্টোবরের আগেই এমন পরিকল্পনা কার্যকর করার কথা ভাবা হয়েছে। তাদের মান্থলি আর্নিং গ্যারান্টি প্রোগ্রামে কোনও খুঁত রয়েছে কি না মূলত তা-ই খতিয়ে দেখবে ওই হিসেবরক্ষক।