HIV treatment: ভেষজের গুণেই নাকি সেরে গেল এইডস! ভারতীয় চিকিৎসককে নিয়ে বিরাট হইচই

সেরে গেল এইচআইভি রোগ। ভুল নয়, ঠিকই পড়ছেন। যে রোগের এতদিন পর্যন্ত কোনও ওষুধ ছিল না, সেই রোগই সারিয়ে তুললেন এক চিকিৎসক। তাও খোদ ভারতের চিকিৎসক। সম্প্রতি, অসম গুয়াহাটির এক কার্ডিয়াক সার্জেনকে নিয়ে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে। জানা গিয়েছে, এইচআইভি সারাতে জিন প্রযুক্তির বিশেষ কারিগরিকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। চিকিৎসক ধনীরাম বড়ুয়া এই অসাধ্য সাধন করেছেন বায়োমলিকিউলের সাহায্যে। যা জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে আবিষ্কৃত বিশেষ আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড)। এই আরএনএ-গুলিকে রোগীর দেহে প্রবেশ করিয়ে রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা হয়েছে।

(আরও পড়ুন: সবচেয়ে উষ্ণ বছর! ১ লক্ষ বছর পর এই তকমা পেল ২০২৩! কারণ নাকি একটাই)

চিকিৎসক বড়ুয়ার এই কাজে একটি বিশেষ ধরনের আরএনএ ব্যবহার করা হয়েছে। তা হল বড়ুয়া স্মল ইন্টারফেয়ারিং আরএনএ (বড়ুয়া সিআরএনএ)। এই আরএনএ-টি রোগীর দেহের টার্গেট মিউটেটেড মাইক্রো আরএনএ -কে (মিআরএনএ) নষ্ট করে দেয়। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় আরএনএ-টিই এই মারণরোগের জন্য দায়ী। ওই সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একাধিক রোগী ডক্টর বড়ুয়া চিকি।ৎসায় সেরে উঠেছেন। রোগীরা নিজে মুখেই এমনটা দাবি করেছেন বলে জানানো হয়েছে। বড়ুয়ার ইনস্টিটিউটে সেরে ওঠা একাধিক রোগী এই দিন সংবাদমাধ্যমের সামনে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। তবে অসুস্থতার কারণে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির থাকতে পারেননি যুগান্তকারী আবিষ্কারের পুরোধা চিকিৎসক ধনীরাম বড়ুয়া।

(আরও পড়ুন: মারপিট না করলেও উন্মত্ত জনতার সঙ্গে থাকলে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন-সুপ্রিম কোর্ট)

কীভাবে তৈরি হল এই বিশেষ বায়োমলিকিউল?

কীভাবে চিকিৎসক বড়ুয়া এই বিশেষ বায়োমলিকিউল জিন তৈরি করলেন। সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ওষধিগুণসম্পন্ন গাছের নির্যাস এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে এই গাছগুলি পাওয়া যায় উত্তর-পূর্ব ভারতে। যা ওষুধ আবিষ্কারের কাজকে আরও সহজ করেছে।

এই দিন সংবাদমাধ্যমের সামনে বৈঠকে হাজির হন সেরা ওঠা রোগীদের একাংশ। তাদের সঙ্গে বড়ুয়া অ্যাপ্লায়েড হিউম্যান জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চিকিৎসকরা। শারীরিক অসুস্থতার জেরে হাজির হতে পারেননি স্বয়ং ওষুধের আবিষ্কর্তা। ইন্সটিটিউটের প্রধান বিজ্ঞানী এস.এ. আচরেকর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই বায়োমলিকিউলগুলি রোগীর শরীরে প্রবেশ করালে একাধিক লড়াকু জিন তৈরি হয়। এদের পোশাকি নাম বড়ুয়া কমব্যাট জিন। সেই জিনগুলিই রোগবাহী জিনগুলিকে আক্রমণ করে।