Latest Update on Free Ration for 5 years: অনুমোদনই মেলেনি, তার আগেই ৫ বছরের জন্য বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ঘোষণা মোদীর

গত ৪ নভেম্বর ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন মোদী জানিয়েছিলেন, আগামী পাঁচবছরের জন্যে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে দেশের ৮০ কোটি নাগরিককে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনেই এই ফ্রি রেশন মিলবে বলে জানা গিয়েছে। তবে সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এখনও এই বিষয়টি অনুমোদনই পায়নি। তার আগেই এই নিয়ে ঘোষণা করে দেন প্রধানমন্ত্রী। (আরও পড়ুন: ‘ক্ষমা চাইছি’, যৌন সঙ্গমের সময় বীর্যপাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ‘ফেরালেন’ নীতীশ)

লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘সেমিফাইনাল’ পরীক্ষার সামনে বিজেপি। ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে মিজোরামে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। ছত্তিশগড়েও প্রথম দফায় ভোট হয়েছে। এরপরই আগামী বছর লোকসভা ভোট। এই আবহে ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে বড় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী জানান, আগামী পাঁচবছরের জন্যে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে দেশের ৮০ কোটি নাগরিককে।

আরও পড়ুন: সকালে ঘুম ভাঙতেই পকেট হল ‘ভারী’, কালীপুজোর আগে ডিএ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমেই বাড়ছে। মুদ্রাস্ফীতির এই হারে নাজেহাল অবস্থা আম নাগরিকের। এই পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে বলে আশঙ্কা। এরই মধ্যে সম্প্রতি এক বেসরকারি সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়, গত অক্টোবরে দেশের বেকারত্বের হার দু’বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের মুখে চাপে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ঘোষণা করে আম জনতার মন জয়ের চেষ্টা করেন মোদী। তবে তাঁর এই ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটের মাঝে কীভাবে এই ধরনের ঘোষণা করা হয়, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন। এই নিয়ে তৃণমূল ইতিমধ্যেই নালিশও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। কংগ্রেসও মোদীর বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে অভিযোগ জানাবে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, কোভিডের আবহে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে দেশে বিনামূল্যে রেশন বিতরণ শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘ লকডাউনের আবহে কেন্দ্রের এই বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা অনেকের জীবন বাঁচিয়েছে। এটা বিশ্বের সর্ববৃহৎ খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে পরিণত হয়। তবে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই প্রকল্পের মেয়াদ আছে। ওই প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের কোষাগারে বছরে দু’লাখ কোটি টাকা বোঝা চাপছে। তবে গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি এখনও অনুমোদন পায়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেই।