Ration Scam: বালুর ১৬ কোটিসহ রেশন দুর্নীতির প্রায় ১৮.২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

রেশন দুর্নীতির তদন্তে মোট ১৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি। ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে এর মধ্যে ১৬ কোটি টাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে খোলা ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আর কোথায় কোথায় দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে নিজের স্ত্রী ও কন্যাকে ৩টি ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসান জ্যোতিপ্রিয়। এর পর সেই সংস্থাগুলির অ্যাকউন্টে টাকা জমা দিতে থাকেন বাকিবুরসহ দুর্নীতিতে জড়িত ব্যবসায়ীরা। সেই টাকা আবার বাঁকুড়ার একটি ভুয়ো সংস্থায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই সংস্থার এক ডিরেক্টর ইডিকে জেরায় জানিয়েছেন, সংস্থায় কোনও ব্যবসাই হত না। কালো টাকা সাদা করতেই ওই সংস্থা কাজ করত। এভাবে প্রায় ১৬ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে দাবি ইডির। পুরো টাকাটাই বাজেয়াপ্ত করেছে তারা।

রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে আগেই ইডি জানিয়েছে ভুয়ো ৩টি সংস্থা থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় যে টাকা আজও শোধ করেননি তিনি। জেরায় ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান একথা জানিয়েছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। ইডির দাবি, শুধু টাকা পাচার নয়, বিভিন্ন ভাবে রেশন দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এই টাকায় কেনা হয়েছে বিপুল পরিমান জমি। ইতিমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় বাকিবুরের নামে বেনামে প্রায় ২০০০ কাঠা জমির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সোমবার জ্যোতিপ্রিয়কে আদালতে পেশ করলে তাঁকে ফের ৭ দিনের ED হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।