State Assessment Survey: শিক্ষার মান পরখ করতে ১০ হাজার স্কুলে স্যাস পরীক্ষা ২৫ নভেম্বর

শিক্ষার মানকে আরও উন্নত করার জন্য শিক্ষার মান উন্নত করতে গেলে পড়ুয়ারা কতটা শিখছে বা তাদের মেধার মান যাচাই করা প্রয়োজন। তার জন্য স্টেট অ্যাসেসমেন্ট সার্ভে বা স্যাস নামের সমীক্ষা পরীক্ষা চালু করেছে রাজ্য সরকার। এবছরের স্যাস হতে চলেছে আগামী ২৫ নভেম্বর। এবছর এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ১০ হাজারটি স্কুলের পড়ুয়া। তবে গত বছর যে স্কুলেগুলিতে এই পরীক্ষা হয়েছিল এবছর পরীক্ষায় সে স্কুলগুলিকে বাদ রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভুয়ো নিয়োগপত্র দেখিয়ে স্কুলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা, ফের কি সক্রিয় দালাল চক্র?

স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের প্রথম ভাষা, গণিত এবং পরিবেশ বিজ্ঞান এই তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। অন্যদিকে, অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রথম ভাষা, গণিত, ইংরেজি বিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞানের পরীক্ষা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি জেলার প্রতিটি সার্কেল থেকে ১০ টি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫টি করে মাধ্যমিকস্তরের স্কুল বেছে নিয়ে পড়ুয়াদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, নেপালি এবং সাঁওতালি এই ৬ টি ভাষাতে হবে।

 পরীক্ষা নেওয়া হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের উত্তর দিতে হবে ওএমআর শিটে। এ বছর যে সমস্ত স্কুলগুলিতে এই পরীক্ষা হচ্ছে না সে সমস্ত স্কুলের শিক্ষকদের স্যাসের ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। আগামী ২৫ নভেম্বর শনিবার যেহেতু এই পরীক্ষা হচ্ছে তাই নির্বাচিত স্কুলগুলিতে ওই দিন যাতে অন্য কোনও পরীক্ষা বা অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা হয় তার জন্য স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, প্রতি তিন বছর অন্তর দেশে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট সার্ভে বা ন্যাস আয়োজন করা হয়। ২০২৪ সালে সেই পরীক্ষা হবে। তার আগে এই পরীক্ষাকে প্রস্তুতি বলা যেতে পারে।

জানা পরীক্ষা, পরীক্ষা যাতে সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায় তার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরে এই পরীক্ষা হয়েছিল। আধিকারিকদের বক্তব্য, এই ধরনের পরীক্ষা হলে সে ক্ষেত্রে শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব হবে। এছাড়াও আঞ্চলিক ভিত্তিতেও পড়ুয়ারা কতটা এগিয়ে রয়েছে তা জানা যাবে। সেই মতো পড়ুয়াদের শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান এবং ভবিষ্যতের তাদের উন্নতির প্রক্রিয়া এই পরীক্ষার মাধ্যমে সম্ভব হবে। আগামী দিনে ছাত্রছাত্রীরা যাতে আরও ভাল পড়াশোনা করতে পারে সেই বুঝে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যাবে।