Amit Shah on Bihar Caste Census: বিহারের জাত ভিত্তিক জনগণনায় মুসলিম, যাদবদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে, দাবি শাহের

লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই জাত ভিত্তিক জনগণনা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা বাড়ছে। একদিকে বিরোধীরা বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে জাত ভিত্তিক জনগণনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। অপরদিকে বিজেপি এই ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এরই মাঝে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল নীতীশ কুমারের সরকারকে তোপ দেগে অমিত শাহ অভিযোগ করেন, বিহারের জাত ভিত্তিক জনগণনায় ইচ্ছে করে মুসলিম ও যাদবদদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। জেডিইউ-আরজেডির মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে শাহের অভিযোগ, তোষণের রাজনীতি করতেই জাত ভিত্তিক জনগণনায় এই কারচুপি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: দেড় বছর ধরে চলছে তদন্ত, অবশেষে মহাদেব বেটিং অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র)

বিহারের মুজফফরপুরে একটি জনসভা থেকে গতকাল অমিত শাহ বলেন, ‘বিহারে জাত ভিত্তিক জনগণনা করানোর সিদ্ধান্ত তখন নেওয়া হয়েছিল, যখন জেডিইউ এনডিএ-র অংশ ছিল। তবে যেভাবে এই জাত ভিত্তিক জনগণা চালানো হয়েছে, তাতে এই মহাজোট সরকারের আসল উদ্দেশ্য সামনে চলে এসেছে। এই জনগণনার সময় ইচ্ছে করেই মুসলিম এবং যাদবদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো গয়েছে। এই সরকার ওবিসি শ্রেণির উন্নতির বিষয়ে চিন্তিত নয়।’ এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘আমরা কখনও ওই ধারনার বিপরীতে কথা বলিনি। তবে একটা বিশেষ ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।’

উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছিল বিহারের জাত ভিত্তিক জনগণনার ফলাফল। তাতে দেখা যায়, অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ১১২টি জাতির মানুষ রাজ্যে ৩৬.০১ শতাংশ। এদিকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ৩০টি জাতির জনগণের সংখ্যা বিহারে ২৭.১২ শতাংশ। এর মধ্যে তফশিলি জাতির জনগণের সংখ্যা ১৯.৬৫ শতাংশ এবং তফশিলি উপজাতির সংখ্যা ১.৬৮ শতাংশ।

এদিকে অমিত শাহের এই অভিযোগের পালটা দিয়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। লালু পুত্র শাহকে পালটা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, গোটা দেশেই জাতি ভিত্তিক জনগণনা করানো উচিত অমিত শাহের। তেজস্বী বলেন, ‘অমিত শাহ অভিযোগ করেছেন যে বিহারের জাতি ভিত্তিক জনগণনায় মুসলিম এবং যাদবদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। আমি তাঁকে বলতে চাই, যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে সেটা প্রমাণ করতে গোটা দেশে জাতি ভিত্তিক জনগণনা করানো হোক।’ নীতীশের ডেপুটি আরও বলেন, ‘তিনি যখনই বিহারে আসেন, এই ধরনের আজেবাজে কথা বলেন। তিনি এই সব মিথ্যা বলেন, কারণ তাঁর আর অন্য কিছু বলার নেই। আমরা তো এখানে কত চাকরি দিচ্ছি। তা নিয়ে তিনি কিছুই বলবেন না। বলবেন তো শুধু মিথ্যা।’