ভারতে দীপাবলি একটি জনপ্রিয় উৎসব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ নানা ভাবে এই দিনটিকে উদযাপন করেন।
হিমাচল প্রদেশের পাথরকা মেলা থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গে কালীপূজা এবং কর্ণাটকের নরক চতুর্দশী, প্রতিটি অঞ্চলই দীপাবলি উদযাপনের বিভিন্ন রকম নিয়ম রয়েছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক ভারতের কোণে কোণে কীভাবে দীপাবলি পালন করা হয় –
পশ্চিমবঙ্গের দীপাবলি-
পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্বাঞ্চলে কালীপূজাকে কেন্দ্র করেই দীপাবলি পালন করা হয়। অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কালী পুজোর পরে দীপাবলির উৎসব আয়োজিত হয় এই রাজ্যে, এই উদযাপনে বহু আচার-অনুষ্ঠান থাকে যা বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ধারণ করে।
আরও পড়ুন: দীপাবলি উদযাপনে ভারতকেও হার মানায় এইসব দেশ! জাতীয় ছুটিও ঘোষণা করা হয় এই দিনে
কর্ণাটকের দীপাবলি-
কর্ণাটক ও গোয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যে নরক চতুর্দশী পালন করা হয় যা ছোট দিওয়ালি নামেও পরিচিত। এই দিনটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা রাক্ষস নরকাসুরের ধ্বংসের জন্য উত্সর্গীকৃত। এখানকার বাসিন্দারা ভোর হওয়ার আগে ঘুম থেকে ওঠেন, তেল মেখে স্নান করেন এবং খারাপকে দূরে সরিয়ে ভালকে আহ্বান করার জন্য বাজি ফাটিয়ে উৎসব পালন করেন।
গুজরাটের দীপাবলি-
গুজরাটে একটি অঞ্চলে, একে অপরের দিকে আতশবাজি নিক্ষেপ করা হয়। এটাই ওই অঞ্চলের উৎসব পালনের রীতি। যদিও এই নিয়ম অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই মনে করা যেতে পারে। পঞ্চমহল গ্রামে এই প্রাচীন রীতিটি একটি স্বতন্ত্র রীতি।
দীপাবলির সময়, গুজরাটের কিছু পরিবার সারারাত ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখে। এই প্রদীপগুলির অবশিষ্টাংশগুলি পরের দিন সকালে সংগ্রহ করা হয় এবং কাজল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এই প্রথাটি অত্যন্ত শুভ হিসাবে বিবেচিত হয় এবং বিশ্বাস করা হয় যে এটি পরিবারে সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
বারাণসীর দীপাবলি-
ভারতের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র বারাণসী গঙ্গা নদীর ঘাটে হাজার হাজার মাটির প্রদীপ দিয়ে দেব দীপাবলি উদযাপন করা হয়। নদীর তীরের দিকে যাওয়ার সিঁড়িগুলি প্রদীপের আলোয় সেজে ওঠে এবং নদীকে দেবতা হিসাবে সম্মান জানাতে একটি বিস্তৃত আরতি অনুষ্ঠান করা হয়। যদিও এই উৎসব দীপাবলির এক সপ্তাহ পরে আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: দীপাবলিতে অজান্তেই পরিবেশের ক্ষতি করবেন না! মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
মহারাষ্ট্র-
দীপাবলির পরের দিন, মহারাষ্ট্রীয়রা ভাইফোঁটা বা ভাইদুজ উদযাপন করেন, ভাই-বোনের বন্ধনকে দৃঢ় করতেই এই উৎসব পালন করা হয়। বাঙালিদের মধ্যেও ব্যপকভাবে প্রচলিত এই রীতি একে ভাই ফোঁটা বলা হয়।
পাঞ্জাব-
পাঞ্জাবে, দীপাবলি গুরু হরগোবিন্দজির কারাগার থেকে মুক্তির স্মরণ করে। এদিন অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরটি আলোর রোশনাইয়ে ভরে ওঠে।