Justice Abhijit Ganguly: পুলিশকে ‘দাস’ আখ্যা, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে সম্প্রতি নোটিশ পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেই নোটিশের বিরোধিতায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু। সেই মামলা উঠেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলার শুনানি চলাকালীন পুলিশকে ভর্ৎসনা করে সেই নোটিশ খারিজ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার। এর আগে এই মামলায় পুলিশকে ‘দাস’ আখ্যা দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। (আরও পড়ুন: তৃণমূলের মহুয়ার পাশে এবার বামেদের সুজন, আদানি ইস্যুতে ‘বার্তা’ ঘাসফুল শিবিরকে)

আরও পড়ুন: এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে ডিএ আন্দোলন! হাড়হিম ঠান্ডাতেও চোয়াল শক্ত সরকারি কর্মীদের

উল্লেখ্য, কাঁথি পুরসভার গ্রিন সিটি মিশনে দুর্নীতির অভিযোগে কৃষ্ণেন্দুকে নোটিশ পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদলতে মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওই মামলার শুনানি হয়। এই আবহে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি। সঙ্গে এগরার এসডিপিওকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, ‘যদি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে, তার বিরুদ্ধে আমি পদক্ষেপ করব।’ তবে এবার একক বেঞ্চের ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।

আরও পড়ুন: ‘আমিই ডায়েরি লিখতাম…’, ফের বিস্ফোরক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক

জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ওই মামলায় সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানো হয় কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে। তবে তাঁকে দশ বছরের আয়কর রিটার্নের তথ্য নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। এই আবহে আদালতে শুভেন্দুর দাদা প্রশ্ন তুলেছিলেন, সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানো হলে কেন আয়কর রিটার্নের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এই নিয়ে পুলিশকে ভর্ৎসনা কেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘উর্দিতে যে অশোকস্তম্ভ রয়েছে, তার সম্মানরক্ষা করেননি এসডিপিও। দাসের মতো কাজ করেছে পুলিশ।’

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে NIA-র জালে ২১, বাংলা সহ আরও ৯ রাজ্যে ধৃত আরও ২৩

জানা গিয়েছে, ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পের দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে ডাকা হয়েছিল কৃষ্ণেন্দুকে। অভিযোগ, ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পের আওতায় বাতিস্তম্ভ বসানো এবং সৌন্দর্যায়নের কাজে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। মামলার তদন্তের জন্য কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর বড় ছেলে কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রী সুতপা অধিকারীকে কাঁথি থানায় তলব করা হয়েছিল।