Honey bees in Border Area: কাঁটাতারে আটকায় না অনুপ্রবেশ, তাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে BSF-এর ভরসা এবার মৌমাছি

বহু বছর ধরেই কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে বেআইনি ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা হয়ে চলেছে বাংলাদেশ সীমান্তে। এমনকী সীমান্ত পার করে গরু পাচারের ঘটনাও ঘটেছে রমরমিয়ে। তাই কাঁটাতারে যে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব নয়, তা এতদিনে বেশ ভালোই বুঝেছে বিএসএফ। এই পরিস্থিতিতে এবার সীমান্ত সুরক্ষিত করতে মৌমাছির সাহায্য নিতে চলেছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকা জুড়ে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে বিএসএফ। যাতে কোনও ব্যক্তি অনুপ্রেশ করতে এলে মৌমাছির আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তারে। (আরও পড়ুন: এ যেন খুশির ‘বিস্ফোরণ’, কালীপুজোর আগে সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ল ৯ শতাংশ!)

উল্লেখ্য, ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির উন্নয়নের জন্য ‘ভাইব্রেন্ট ভিলেজ’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রকল্পের আওতাতেই মৌমাছি প্রতিপালনের প্রচার চালানো হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামে। জানা গিয়েছে, এলাকার উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে এই মৌমাছির চাক। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় মৌমাছির বাক্স বসানো হবে পরিকল্পিত ভাবে। এই মৌমাছির বাক্সগুলির দেখভালের দায়িত্বে থাকবে স্থানীয়রা। এখান থেকেই মধু সংগ্রহ করতে পারবেন তারা। তাতে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন তারা। পাশাপাশি বিএসএফ আশা, এই মৌমাছির মাধ্যমেই অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব হতে পারে এই সব এলাকায়।

আরও পড়ুন: বসে পড়বে ৮০টি বিমান, জানুয়ারি থেকে আকাশছোঁয়া ভাড়া হাঁকতে পারে ইন্ডিগো

তবে সীমান্তের বেড়ার কাছে কীভাবে বসানো হবে বাক্স? তাতে কীভাবেই বা হবে মৌমাছি প্রতিপালন? জানা গিয়েছে, মৌমাছির বাক্সগুলির সামনে এমন কিছু ফল ও ফুলের গাছ লাগানো হবে, যা মৌমাছিদের পছন্দের। তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বাক্সগুলিকেও এমন ভাবেই বসানো হবে, যাতে মৌমাছিরা আকৃষ্ট হয়। এই পদক্ষেপের ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজনের আয়ের একটি নতুন উৎস খুলে যাবে। এদিকে বিএসএফ-এর পাশাপাশি এই মৌমাছিগুলিও সীমান্তের প্রহরী হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে এই মৌমাছি প্রতিপালন কতটা কার্যকরি হয় এখন তাই দেখার। এদিকে এখনই দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তে এই মৌমাছির বাক্স বসানো হচ্ছে না। তবে যে ২০টি গ্রামে তা বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে, তা সফল হলে দক্ষিণবঙ্গেও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে বিএসএফ-এর এই অভিনব উদ্যোগে অনুপ্রবেশ কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।