Rohingya Trafficking Case: রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে ত্রিপুরা থেকে NIA-র জালে ২১, বাংলা সহ আরও ৯ রাজ্যে ধৃত আরও ২৩

বাংলাদেশ থেকে বিগত কয়েক বছরে বহু রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে ভারতে। তাদের মধ্যে অনেকেই উত্তরপূর্ব হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। আবার বাংলা দিয়েও কয়েকজন ঢোকে। এরপর তারা গা ঢাকা দিতে চলে যায় ভারতের অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্যে। এই আবহে এবার মানব পাচারের মামলায় তদন্ত নেমেছে খোদ এনআইএ। এই আবহে গতকাল দেশের ১০টি রাজ্যে একযোগে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। এর মধ্যে ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গেও অভিযান চলে। দেশ জুড়ে মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয় গতকাল। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জনকে ধরা হয়েছে ত্রিপুরা থেকে। (আরও পড়ুন: কাঁটাতারে আটকায় না অনুপ্রবেশ, তাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে BSF-এর ভরসা এবার মৌমাছি)

রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পুদুচেরির মোট ৫৫টি জায়গায় দিনভর তল্লাশি চালানো হয় বুধবার। গতকালকের এনআইএ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩ জন, ত্রিপুরা থেকে ২১ জন, কর্নাটক থেকে ১০ জন, অসম থেকে ৫ জন, তামিলনাড়ু থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তেলঙ্গানা, পুদুচেরি ও হরিয়ানা থেকেও ১ জন করে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ জাল পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের নামে ভুয়ো আধার এবং প্যান কার্ডের মতো নথিও মিলেছে তাদের কাছ থেকে। ধৃতদের অধিকাংশই দালাল বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে এই চক্রের একা সূত্র গাঁথা রয়েছে বাংলাদেশেও। এই আবহে অনুপ্রবেশকারীদের কে সাহায্য করছে, তা চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছেও সাহায্য চাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই পাচার চক্রের বড় একটা অংশ সক্রিয় ত্রিপুরায়। এই আবহে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই গোপনে বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনআইএ। সঙ্গে ছিলেন বিএসএফ জওয়ানরাও। ধৃতদের ত্রিপুরা থেকে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই দালাল চক্রের পর্দা ফাঁস করতে এর আগেও ত্রিপুরা পুলিশ এবং অসম পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল জায়গায় জায়গায়। সেই সময়ও বহু দালাল গ্রেফতার হয়েছিল। এদিকে গত কয়েকদিনে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা। তাদের কাছে কিছু জাল কাগজপত্র এবং নথিও পাওয়া গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই গতকাল এই তল্লাশি অভিযানে নামে এনআইএ। রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অসম পুলিশ এই মানব পাচার র‌্যাকেটের খোঁজ পায়। ত্রিপুরা থেকে আগত একটি ট্রেনে একদল রোহিঙ্গাকে দেখতে পেয়েই আটক করে করিমগঞ্জ পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই মানব পাচার চক্রের খোঁজ মেলে। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ।