Chikungunya Vaccine: এবারে হয়তো কাটবে চিকুনগুনিয়ার আতঙ্ক, আমেরিকায় আসছে এই রোগের টিকা

মশাবাহিত রোগগুলির মধ্যে ডেঙ্গি ও জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের পরেই রয়েছে চিকুনগুনিয়া। গোড়ায় ধরা পড়ে না এই রোগ। ফলে চিকিৎসাতেও দেরি হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে চিকুনগুনিয়ার প্রভাব খুব বেশি। বর্ষা এলেই বাড়ে চিকুনগুনিয়ার উৎপাত। তবে এই রোগ নিয়ে চিন্তার দিন শেষ বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ বিশ্বের প্রথম চিকুনগুনিয়া টিকা এবার বাজারে পাওয়া যাবে।

(আরও পড়ুন: উপসর্গ ছাড়াই বিকল হতে পারে কিডনি! ৩ ছোট্ট বদল আনুন রোজকার খাবারে)

চিকুনগুনিয়ার প্রথম টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এর দাবি, মানুষের শরীরে চিকুনগুনিয়ার টিকা প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে। ২৮ জনের উপর এই ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, ৯৮.৯ শতাংশ কার্যকরী এই টিকা। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে এই সাফল্য এসেছে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

কী কী উপসর্গ দেখা যায় এই রোগে? চিকুনগুনিয়া হলে দুই থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত জ্বর থাকবে। সঙ্গে প্রচণ্ড শারীরিক দুর্বলতা। জ্বর ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। নাক আর গালের দু’পাশ লাল হয়ে যায় (বিশেষত মেয়েদের)। শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যাথা ও মাথা ব্যথার লক্ষণও দেখা যায়। এই ব্যথা এক সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই রোগ রোগীর মৃত্যু হয়।

(আরও পড়ুন: এই শাক খেলে আর ‘পচবে’ না লিভার! হার্টও কাজ করবে তরুণদের মতো)

১৯৫২ সালে আফ্রিকার মোজাম্বিক ও তানজানিয়ার সীমান্তে মাকোন্ডে নতুন ভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল। স্থানীয় জনজাতির ভাষায় ওই ভাইরাসের নাম ‘চিকুনগুনিয়া’। মূল শব্দ ‘কুনগুনিয়ালা’। অর্থ ‘যা বেঁকে যায়’। তা থেকেই ভাইরাসটির নাম চিকুনগুনিয়া। এই জ্বর হলে রোগী সোজা হয়ে হাঁটতে পারে না।

চিকুনগুনিয়াকে অনেক সময়েই চিকিৎসকরা ডেঙ্গি ভেবে ভুল করেন। ‘আরবোভাইরাল’ জ্বরের লক্ষণ দেখলেই ডাক্তাররা ডেঙ্গির এনএস১ বা আইজিএম এলাইজা করার পরামর্শ দেন। পরে যখন দেখা যায়, রোগী প্রচণ্ড গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে, তখন ব্যথা কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়। এতে রোগ না কমে তলে তলে বাড়তে থাকে। এমনকি পেশি ও হাড়ে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। হাঁটতে কষ্ট হয় রোগীর। চিকুনগুনিয়া টিকা এখনও বাজারে আসতে কিছুটা সময় জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বাজারে আসার পর টিকা কতটা সফল হচ্ছে সেদিকেই নজর রাখবেন বিজ্ঞানীরা।