ইস্তফা দেওয়া অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ডাক রাজ্যপালের, কেন সাক্ষাতের আহ্বান?

সদ্য রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ইমেল করেছেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তবে তিনি ইস্তফা যে দেবেন তা আগাম খবর মিলেছিল। সেটা শুক্রবার ঘটে গিয়েছে। আর তারপরই রাজ্যপাল এই এজি’‌র সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। কেন হঠাৎ দেখা করতে চাইলেন রাজ্যপাল?‌ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন প্রশাসনের শীর্ষ আমলারা। আর রাজভবন সূত্রে খবর, ওই ইমেল রাজভবনে আসতেই সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে মুখোমুখি দেখা করতে বলেছেন রাজ্যপাল।

অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ থেকে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের ইস্তফার কথা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। কেন তিনি ইস্তফা দিতে চাইলেন?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এখন বিদেশে আছেন। তাই তিনি এখনই দেখা করতে পারছেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। আগামী ১৭ নভেম্বর সৌমেন্দ্রনাথবাবু শহরে ফিরবেন। সূত্রের খবর, কলকাতায় ফিরে তিনি দেখা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। বিদেশ থেকেই শুক্রবার ইমেল করে রাজ্যপালের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর তারপর থেকেই নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে (‌পিপি)‌ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় সরে যেতে পারেন এজিও। সেটা ঘটলও। তবে এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে পরপর তিনজন অ্যাডভোকেট জেনারেলের ইস্তফাপত্র জমা পড়ল। প্রথমে জয়ন্ত মিত্র, দ্বিতীয় কিশোর দত্ত এবং তৃতীয় সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। এই বিষয়টি নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ থেকে কেউ এমনি ইস্তফা দেন না। সেখানে যথেষ্ট কারণ থাকে। কিন্ত কারণটি এখনও কেউ খোলসা করেননি। এই সুযোগে রাজ্যপালের ডাক ভাবিয়ে তুলেছে সকলকে।

আরও পড়ুন:‌ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তুঙ্গে কালীপুজোর আয়োজন, মায়ের ভোগের মেনু কী থাকছে?

অন্যদিকে রাজ্যপাল তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন। দেখা করতে চেয়েছেন। আর একইসঙ্গে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। সেখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন ইস্তফা দিলেন?‌ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও অসুবিধা হচ্ছিল?‌ ইমেল করে অ্যাডভোকেট জেনারেল ইস্তফাপত্র পাঠাতেই সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলতে চান রাজ্যপাল। এখন দেখার বিষয় হল, দু’‌পক্ষের সাক্ষাতে নতুন কোনও তথ্য উঠে আসে কিনা।