Neuralink chip implant: মগজে ‘চিপ’ বসাতে রাজি হাজারের বেশি মানুষ, মাস্কের সংস্থার কাছে এল আবেদন

ব্রেনের ভিতর এবার বসানো হবে চিপ। রোবোকপ বা টার্মিনেটর মুভি দেখা থাকলে দৃশ্যটা মনে পড়বে। মানুষ আর যন্ত্র এক হয়ে যাচ্ছে। মস্তিষ্কের ভিতর তার ও নানা যন্ত্রপাতি বসছে। এবার সেটাই হবে বাস্তবে। তবে যে সে সংস্থা নয়। এই পরীক্ষানিরীক্ষার দায়িত্বে রয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা। নিউরালিঙ্ক সম্প্রতি খুঁজছে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের। তাদের ব্রেনে চিপ বসিয়ে চলবে বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা। চিপের সঙ্গে থাকবে ইলেকট্রোড। সবশেষে কিছু তারের সংযোগ করা থাকবে খুলির ভিতর। 

(আরও পড়ুন: শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলেই বাড়বে না রোগ প্রতিরোধ শক্তি, সঙ্গে এ কাজটিও করা চাই)

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, এটাই নিউরালিঙ্কের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। সংস্থার তরফে তাই চলছে মানুষ খোঁজার পালা। নিজেদের মস্তিষ্কে স্বচ্ছন্দে এসব কারিকুরি করতে দেবেন, এমন ব্যক্তিরই খোঁজ চলছে। কীভাবে করা হবে গোটা প্রক্রিয়া? তাও জানিয়েছে মাস্কের সংস্থা। নিউরালিঙ্ক বলেছে, এই গোটা কাজটি রোবটের সাহায্যে করা হবে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী রোবটই ব্রেনে চিপটি বসিয়ে দেবে। রোবটের কাজ হয়ে গেলে কম্পিউটার করবে বাকি কাজ। খুলির কিছুটা অংশ অবশ্য থাকবে না। বরং তার জায়গায় বসানো হবে একটি কম্পিউটার। ছোট্ট চৌকো অংশ জুড়ে থাকবে ওই কম্পিউটারের মতো যন্ত্র। কম্পিউটারটি বেশ কয়েক বছর সেখানেই থাকবে।

(আরও পড়ুন: বাসে ট্রেনে ঝুলে ঝুলে আর নয়! উড়ে উড়ে অফিস যাওয়ার ব্যবস্থা করল ইন্ডিগো)

ওই কম্পিউটারের কাজ কী? নিউরালিঙ্ক জানাচ্ছে, কম্পিউটারটিই কাজ পর্যবেক্ষণ। যার মস্তিষ্কে ওটি লাগানো, তাঁর কার্যকলাপ নজরে রাখবে কম্পিউটার। সারাদিন তাঁর মস্তিষ্ক কী কী ভাবছে বা করছে সেটা দেখবে। এই সংক্রান্ত সব তথ্য সংগ্রহ করবে। সেই তথ্য পাঠিয়ে দেবে একটি ট্যাবলেট বা ল্যাপটপে। সেখানেই সব সংরক্ষিত থাকবে। 

সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট মোতাবেক, ইতিমধ্যেই হাজারেরও বেশি আবেদন জানিয়েছে‌। ওষুধ তৈরির নয়া পন্থা হতে পারে নিউরালিঙ্কের গবেষণা। আবেদন চলছে এখনও। তবে আবেদন জানানোর বেশ কিছু শর্ত ঠিক করেছে মাস্কের সংস্থা। তার মধ্যে অন্যতম হল বয়স। ৪০ বছরের কমবয়সি এমন কাউকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্রেনের চারটি লিম্বে প্যারালাইসিস থাকতে হবে। এমন ব্যক্তিকেই এই পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংস্থা।