Garment worker protest: বাংলাদেশে ১৫০ পোশাক কারখানা বন্ধ, ১১,০০০ শ্রমিকের বিরুদ্ধ অভিযোগ দায়ের

অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ১১হাজার পোশাক শ্রমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। তার জেরে বন্ধ হয়ে গেল বাংলাদেশের ১৫০ পোশাক কারখানা। শনিবার থেকে এই কারখানাগুলি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে।

নূন্যতম বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা। তাদের দাবি মেনে সরকার গঠিত কমিটি ৫৬ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির কথা জানিয়ে। কিন্তু তা মানতে রাজি নয় শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। তাদের দাবি বর্তমান বেতনের তিনগুণ বৃদ্ধি করতে হবে। ফলত শ্রমিকরা আন্দোলন জারি রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন, বেতন বৃদ্ধির দাবির নিয়ে আর আলোচনা হবে না। যে পরিমাণ বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা মেনে নিয়েই কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁর যুক্তি সরকারি কর্মীদেরও এই পরিমাণ বেতন বাড়ে না। তিনি কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরেই বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বলেন।

কিন্তু তার পরও বিক্ষোভ আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। কিছুদিন আগেই ঢাকার কাছে আশুলিয়ায় বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশ সংঘর্ষ হয়। বাংলাদেশের অন্যতম বড় পোশাক তৈরির কারখানা তুসুকায় ভাঙচুর চালায় শ্রমিকরা। একই সঙ্গে লাগোয়া বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানাও ভাঙা হয়েছে। এই ঘটনায় ১১ হাজার অজ্ঞাত পরিচয় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক মোশারফ হোসেন সংবাদসংস্থা এপিএফকে এই খবর জানিয়েছেন।

ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকার উত্তরে আশুলিয়া এবং গাজিপুরে ১৫০ পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশে শনিবার থেকে কর্মদিবস শুরু হয়। ওই দিন নতুন করে বিক্ষোভের আশঙ্কায় মালিকপক্ষ কারখানাগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

(পড়তে পারেন। ‘কাজে ফিরুন, আর বেতনবৃদ্ধি সম্ভব নয়,’ আন্দোলনকারী পোশাক শ্রমিকদের বার্তা হাসিনার) 

মুখ্য পুলিশ আধিকারিক সারোয়ার আলম জানিয়েছেন, শ্রমিক আইনের ১৩/১ ধারা জারি করে ১৩০ কারখানা বন্ধ রেখেছেন মালিকরা।

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই প্রথমবার পোশাক শিল্পীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন শেখ হাসিনা। আগামী বছর জানুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এই শ্রমিক বিক্ষোভ অস্বস্তিতে ফেলেছে হাসিনা সরকারকে। 

বাংলাদেশে বর্তমান ৩,৫০০ পোশাক কারখানা রয়েছে। এই পোশাক কারখানা থেকে বার্ষিক পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ৫৫ বিলিয়ন ডলার। লেভিস, জারা এবং এইচএন্ডএম-এর মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলিকে পোশাক সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ।