দীপাবলিতে তুমুল এক্স যুদ্ধ শুভেন্দু–কুণালের, কড়া জবাবে ‘‌স্পিকটি নট’‌ বিরোধী দলনেতা

ডায়মন্ডহারবারের ফলতায় বিজয়া সম্মিলনী করেন স্থানীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন তাঁর যাত্রাপথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে নাম না করেই। এবার শুভেন্দুর এক্স–বার্তার পাল্টা খোঁচা দিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে কড়া কথা লেখেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর তাতেই তেতে উঠল দীপাবলির দিন রাজ্য–রাজনীতি। সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর সেই কম্বল কাণ্ড মনে করিয়ে দেওয়ায় স্পিকটি নট হয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

এদিকে গতবছর ডিসেম্বর মাসে আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল কাণ্ডে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। তার মধ্যে একজন শিশু ছিল। ওই ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য–রাজনীতি। এবার সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। কেন নিরাপত্তা লাগে কোনও কর্মসূচিতে?‌ সেটা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেন কুণাল। বিরোধী দলনেতা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘১০ নভেম্বর ২০২৩ কালীঘাট থেকে ফলতা যাওয়ার জন্য প্রায় ৪ হাজার ৭০০ নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন বিনা উর্দির পুলিশ কর্মী, সাধারণ পোশাকে পুলিশ কর্মী, পদস্থ আধিকারিক এবং ট্র্যাফিক পুলিশ।’‌

অন্যদিকে টুইটে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু লেখেন, জাঁহাপনা তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের অন্তর্গত ফলতায় যে বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন, তাতে নিরাপত্তার জন্য সব মিলিয়ে ৪,৭০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কালীঘাট থেকে ফলতা পর্যন্ত বিভিন্ন থানা মিলিয়ে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। কিং লিয়রের সুরক্ষার বহরটা একবার দেখুন। ডায়মন্ডহারবারের শেষ রাজা। ৩৩ পাতার একটা অর্ডার রয়েছে। যদি ধৈর্য্য থাকে তবে গোটাটা একবার স্ক্রল করে দেখুন। জাহাঁপনা কোনও যুদ্ধে যাচ্ছেন না, বিরাট বাহিনী নিয়ে তিনি বিদেশি রাষ্ট্র জয় করতে যাচ্ছেন এমনটাও নয়, তিনি কিছু বস্ত্র বিতরণ করতে যাচ্ছেন। এর যা মূল্য তা বিপুল নিরাপত্তার তুলনায় একেবারেই যৎসামান্য।’‌

আরও পড়ুন:‌ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কালীপুজোয় হাত লাগাল আজানিয়া, নিজের হাতেই করলেন ভোগ রান্না

এবার পাল্টা দিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে মুখের উপর জবাব দিয়েছেন। কুণাল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‌বিরোধী দলনেতা বোধহয় ভুলে গিয়েছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকলে কী হতে পারে। গতবছর ডিসেম্বরে আসানসোলে শুভেন্দুর কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। যে কর্মসূচির কোনও পুলিশি অনুমতিই ছিল না। আসানসোলে মিস্টার অধিকারীর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিনজন মারা গিয়েছিলেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আমাদের ফকির প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার খরচ ৫৪০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৬০০ কোটি টাকা করেছে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় দৈনিক খরচ এক কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা।’‌